ব্রাহ্মণপাড়াতে
বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা, শুরু হয় তীব্র যানজট। এতে চরম দুর্ভোগের
শিকার হন হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বৃষ্টিতেও ভোগান্তি আর
কষ্ট হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ব্রাহ্মণপাড়াবাসী। এছাড়া সড়কে দীর্ঘ সময়
জলাবদ্ধতার কারণে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে
সড়কটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া-কুমিল্লা সড়কের ভিশন
হসপিটাল, প্রাণি সম্পদ অফিস ও শিশু মাতৃ হাসপাতালের সামনের রাস্তায়
জলাবদ্ধতা ছোটবড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরা।এসকল কারণে ট্রাক, বাস, সিএনজি,
অটোরিক্সা ও অন্যান্য যানবহন ধিরে চলে। যার প্রভাবে ব্রাহ্মণপাড়া (সদর)
বাজারে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। তীব্র যানযটের সবচোয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার
হচ্ছে ব্রাহ্মণপাড়া - কুমিল্লা চলাচলকারী যাত্রীরা। এছাড়া কুমিল্লায় গিয়ে
চিকিৎসা নেওয়া রোগী ও কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণপাড়ায় এসে অফিস করে এমন
যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার বেশি হচ্ছে। কারণ আগে যেখানে ৩৫/৪০ মিনিটের মধ্যে
কুমিল্লা - ব্রাহ্মণপাড়া আসা-যাওয়া করা যেতো সেখানে দ্বিগুনের বেশি সময়
লাগছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের সামনে
(ব্রাহ্মণপাড়া - কুমিল্লা) সড়কে কয়েকটি যানবাহন উল্টে যেতে দেখা যায়।এতে
মালামাল ক্ষয়ক্ষতিসহ কয়েক জন আহত হয়। চালকেরা জানান, জলাবদ্ধতার কারণে
কোথায় ছোট গর্ত কোথায় বড় গর্ত না দেখা যাওয়ার কারণে গাড়ী উল্টে গেছে।
কুমিল্লা-ব্রাহ্মণপাড়া
সড়কে নিয়মিত সিএনজি চালান জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, রাস্তার খানাখন্দ ও
ছেট বড় গর্তের কারণে সড়কে স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানো যায়না আবার কখন যে
ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি অচল হয়ে পরে সে ভয় সবসময় থাকে।
এব্যপারে সচেতন
মহল মনে করে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যদি এ জলাবদ্ধতা ও রাস্তা সংস্কার না
করা হয় তাহলে এই রমজানের ঈদে ব্রাহ্মণপাড়াবাসীর ভোগান্তির অন্ত থাকবেনা।
এ
ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান আমিনুল
ইসলাম সুজন বলেন, আজকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় সমন্বয় মিটিংয়ে এ সড়কের পাশে
ড্রেনেজ ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পূর্বে এ সড়কের দুই পাশের পুকুর
ভরাট করার কারণে বর্তমানে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী দুই একদিনের
মধ্যে সড়ক থেকে কিভাবে পানি সরানো যায় তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।