দুই
দলই পেল গোলের দেখা, আবার নষ্ট করল সুযোগও। তাতে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও
শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি শেষ হলো সমতায়। একই দিনে
শেষ দিকের গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে জিতল বাংলাদেশ পুলিশ।
এক
মাসের একটু বেশি সময়ের বিরতি শেষে শুক্রবার শুরু হয়েছে লিগের দ্বিতীয় ধাপের
খেলা। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল ও শেখ জামালের
ম্যাচটি হয়েছে ১-১ ড্র। মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর
রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
প্রথম
পর্বের শেষ আর দ্বিতীয় পর্বের শুরুটা একইরকম হলো বাংলাদেশ পুলিশ (জয়), শেখ
রাসেল ক্রীড়া চক্র (ড্র), চট্টগ্রাম আবাহনীর (হার)। শেখ জামালকে অবশ্য
হতে হয়েছে পথহারা; জয় দিয়ে লিগের প্রথম ধাপ শেষ করেছিল তারা।
জয়ে ফেরার
সম্ভাবনা শেখ রাসেল জাগিয়েছিল ২৩তম মিনিটে এগিয়ে গিয়ে। শাহীনের লম্বা ক্রস
বক্সের জটলার মধ্যে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় শেখ জামালের ডিফেন্ডারা। সুযোগ
কাজে লাগান গিনির ফরোয়ার্ড সেকু সিল্লা। ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের
জার্সিতে অভিষেকেই গোল পেলেন তিনি।
৪৯তম মিনিটে ক্রসবারের বাধায় সমতায়
ফেরা হয়নি শেখ জামালের। বক্সের আশাপাশে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করার
ফাঁকে হঠাৎ শট নেন কৌশিক বড়ুয়া। বল হওয়ায় ভেসে লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষককে ফাঁকি
দিয়ে ক্রসবারে লেগে ফেরে।
৫৬তম মিনিটে শোখরুখবেক খোলমাতোভের সফল স্পট
কিকে স্বস্তি ফেরে শেখ জামাল শিবিরে। বক্সে জটলার মধ্যে ইমন মাহমুদের হাতে
বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
শেষ দিকে সুযোগ হারায় শেখ
রাসেল। বাম দিক থেকে মনির আলমের ক্রস ছয় গজ বক্সে ফাঁকায় পেয়েও হেডে বল
জালে পাঠাতে পারেননি সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড ভসিজলাভ বালানভিচ। বল পোস্ট ঘেঁষে
বাইরে চলে যায়; তাতে পয়েন্ট ভাগাভাগিই করতে হয় তাদের।
মুন্সিগঞ্জে
ড্রয়ের পথে থাকা বাংলাদেশ পুলিশ ও চট্টগ্রাম আবাহনীর মধ্য ম্যাচের মোড় ঘুরে
যায় ৭৯তম মিনিটে। এদুয়ার্দ মোরিওর পাস থেকে বাংলাদেশ পুলিশকে এগিয়ে নেন আল
আমিন। এ গোলটি আগলে রেখেই পুরো ৩ পয়েন্ট মাঠ ছাড়ে দলটি।
১০ ম্যাচে ১৪
পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামাল চতুর্থ, ১৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ তৃতীয় স্থানে
আছে। শেখ রাসেল ১১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম ও চট্টগ্রাম আবাহনী ১০ পয়েন্ট নিয়ে
আছে অষ্টম স্থানে।