ওয়ানডে
সিরিজে ঘরের মাঠে কুপোকাত হয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে কোনোটিতেই
একশর বেশি রান করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সে সব এখন অতীতের
খাতায়। দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
রাত পোহালেই মিরপুর
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামবে
বাংলাদেশ। দুপুর ১২টায় শুরু হবে তিন ম্যাচের এই সিরিজ। চলতি বছরের
সেপ্টম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে হবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তাই এই
সিরিজের গুরুত্ব বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
বিশ্বকাপে লড়তে হবে শক্তিশালী সব
দলের বিপক্ষে। তাই জ্যোতিরা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে চান
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়েই, ‘এখন থেকে যদি আমরা পরিকল্পনা করে
এগোই, তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।’
সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলেনে
শনিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন জ্যোতি। কেন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এই
সিরিজ থেকে সেই ব্যাখাও দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
‘সামনে ভারত সিরিজ
এরপর বাকি দলগুলো আসবে আমাদের সঙ্গে খেলতে, সুতরাং আমরা এখনই যদি পরিষ্কার
হয়ে যাই, না আমি এখানে খেলব, আমাকে এভাবে রোলটা প্লে করতে হবে। যে দলের
প্লেয়াররা নিজেদের ভূমিকা/রোল নিয়ে অনেক বেশি পরিষ্কার থাকে, তাদের কিন্ত
পারফর্ম করতে সুবিধা হয়’- বলছেন জ্যোতি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ সামনে হলেও
ঘুরে ফিরে আসে ওয়ানডে সিরিজের ব্যর্থতার গল্পও। দুই দলের শক্তির ফারাকে
যেতে চান না জ্যোতি, ‘ওদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্যই চলে না। ওদের সঙ্গে
খেলিনা আমরা। ওরা যেভাবে ক্রিকেট খেলে, যে ওয়েতে, ওদের যে সুযোগসুবিধা,
পার্থক্য অনেক অনেক বেশি।’
ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চায়
মেয়েরা, ‘প্রথমত যেসব ভুল আমরা ওয়ানডে সিরিজে করেছি, সেগুলো অবশ্যই করতে
চাইব না। দ্বিতীয় হচ্ছে যেহেতু পুরোপুরি ভিন্ন সংস্করণের খেলা, ভালো
ক্রিকেটটা খেলতে চাইব।’