কুমিল্লার
বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে ভারতীয় সীমান্তের নগর এলাকায় চোরা
কারবারিদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
শংকুচাইল বিজিবি’র ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ শাহাজাহান।
গতকাল (২ এপ্রিল ২০২৪) মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হায়দ্রাবাদ নগর এলাকায় পিলার ২০৬৩/০৮ এস সংলগ্নে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
হায়দ্রাবাদ
বিজিবি টহল কমান্ডার মোঃ ছাদেক মিয়া জানান,ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত
হায়দ্রাবাদ নগর নমাক স্থানে ২০৬৩/০৮ পিলার সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় চিনি
চোরাকারবারি রিমন ও বাংলাদেশের চিনি চোরাকারবারি তুইন গ্রুপের মধ্যে
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচোড়া এলাকার নোয়াব মিয়ার ছেলে কবির(১৮) এর হাতের
আঙ্গুল কেটে যায় এবং কয়েকজন আহত হয়। ভোর আনুমানিক ৬টায় খবর পেয়ে বিজিবি
টহল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভারতীয় চিনি চোরাকারবারি
রিমন(৩১) এর বাড়ি সিপাহীজলা জেলার কলমচৌড়া থানার নগর গ্রামের সুলতান মিয়ার
ছেলে। অপর বাংলাদেশী চিনি চোরাকারবারি তুহিন(২৮) বাড়ি কুমিল্লা জেলার
বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল এলাকার শিশুমিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা
জানায়,দীর্ঘদিন ধরে ভারতের চোরাই কারবারিদের বাংলাদেশের চোরাকারবারিরা
চোরাই পণ্য নামিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে। রাত যত গভীর হয়
ততই চোরাকারবারিদের সংখ্যা সীমান্তে বেড়ে যায়। সংঘর্ষের ঘটনার খবর শুনে
বিজিবি’র টহল কমান্ডার হায়দ্রাবাদের মোঃ সাদেক সহ সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ
করছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত দু'বছর আগে রমজান মাসে নগর সীমান্তের
এই এলাকায় তথ্য দেয়ার জন্য খবর দিয়ে নিয়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাইম
কে গুলি করে হত্যা করে মাদক কারবারিরা। এছাড়াও গত শনিবার রাতে একই উপজেলার
শঙ্কুচাইল সীমান্তে আলাল খান নামে এক শ্রমিক বিএসএফ এর গুলিতে গুরুতর আহত
হয়ে ঢামেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। দিনে ও রাতে প্রায়ই সীমান্তেরজিরো
পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় ঘটছে এমন নানান ঘটনা। বুড়িচং সীমান্তের বেশ কয়েকটি
পয়েন্টে ভারতীয় অবৈধ পণ্য ও মাদকের চোরাচালান এবং মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম
বৃদ্ধিতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও ঘটনার আশংকায় স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।