উপজেলা
পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের প্রমাণ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নেয়া হবে
বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল
আউয়াল। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের আগের দিন মঙ্গলবার এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
দেশের ১৪১ উপজেলায় প্রথম ধাপে বুধবার ভোটগ্রহণ হবে। এগুলোর মধ্যে ২২টিতে ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
রাজধানীর
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সকালে সিইসি বলেন, ‘এটা নিয়ম রক্ষার ভোট নয়।
নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। আমাদের কাজ নির্বাচন আয়োজন করা।
‘কে,
কোন দলের প্রার্থী, এটা কোনো বিষয় না। আমরা দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছি
না। প্রার্থীর সঙ্গে প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছি। যদি একজন প্রার্থী
থাকে, তবে ভোট হবে।’
বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন,
‘প্রতিটি পদে চারজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই,
সে কথা বলা যাবে না।
‘কমিশনের দায়িত্ব প্রার্থী আছে কি না, সুষ্ঠুভাবে
প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে কি না, সেটি দেখা। দলীয় বিষয়গুলো দেখা
আমাদের দায়িত্ব না।’
উপজেলার ভোটে প্রভাব বিস্তার নিয়ে হাবিবুল আউয়াল
বলেন, ‘ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির
অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে
ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
‘ইসি
কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে
কমিশনের।’