অলিম্পিকে বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদরা
সাধারণত অংশগ্রহণ করেন ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে। বাংলাদেশ অলিম্পিক
এসোসিয়েশন চার ডিসিপ্লিনের ৬ ক্রীড়াবিদের জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির
কাছে আবেদন করেছে। আরচ্যার আব্দুল হাকিম রুবেল, শুটিংয়ে শায়রা আরেফিন ও
রবিউল ইসলাম, গলফে সিদ্দিকুর রহমান ও জামাল হোসেন এবং বক্সিংয়ে সেলিম হোসেন
এখনো ওয়াইল্ড কার্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন।
এদের সঙ্গে এই অপেক্ষামান তালিকায় যোগ দিয়েছেন স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান, সাতারু সামিউল ইসলাম রাফি ও সোনিয়া খাতুন।
বাংলাদেশের
দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান। গত দুই বছরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের
প্রতিনিধিত্ব করেছেন অনেক টুর্নামেন্টে। এবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া
প্রতিযোগিতা অলিম্পিকে করার অপেক্ষায়। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে প্যারিস অলিম্পিকে একটি কোটা দিয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন এতে ইমরানুর রহমানের নাম দিয়েছে।
ফেডারেশনের
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, ‘প্রাথমিক তালিকায়
আমরা কয়েকজন অ্যাথলেটের নামই রেখেছিলাম। পরবর্তীতে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স
একজনের নাম দিতে বললে তখন আমরা ইমরানের নাম বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে
প্রেরণ করি।’
ইমরানের নাম এখনো পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের খবর পায়নি
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। এরপরও যেহেতু একটিই কোটা এবং ইমরানের
আন্তর্জাতিক পারফরম্যান্সও ভালো ফলে তার প্যারিস অলিম্পিক খেলা অনেকটা
নিশ্চিতই বলা যায়।
অলিম্পিকে অ্যাথলেটিক্সের মতো সাঁতারেও বিশ্ব সাতার
সংস্থা কোটা বরাদ্দ করে। ওয়ার্ল্ড একুইটিস বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনকে
একজন নারী ও একজন পুরুষ সাঁতারুর নাম প্রেরণ করতে বলেছিল। সাঁতার ফেডারেশন
সামিউল ইসলাম রাফি ও সোনিয়া খাতুনের নাম বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন ও
ওয়ার্ল্ড একুইটিসে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক
এমবি সাইফ বলেন, ‘বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছে ও বিশ্ব সাঁতার
সংস্থার স্কোরের মানদন্ড অনুযায়ী একজন পুরুষ ও নারী সাঁতারুর নাম দিতে
বলেছিল। আমরা সেই নির্দেশনা মোতাবেক রাফি ও সোনিয়াকে নির্বাচিত করেছি।’
রাফি
গত বছর অনুষ্ঠিত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি রেকর্ড গড়ে সেরা সাঁতারু
হয়েছেন। বিশ্ব সাঁতার সংস্থার বৃত্তিতে থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণরত তিনি।
টোকিও অলিম্পিকে জুনাইনা ও আরিফ সাঁতারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিল
তাই এবারও দু'জন খেলার ব্যাপারে আশাবাদী সাতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক,
‘গত বছর আমরা দু'টি কোটা পেয়েছিলাম। এবারও যেহেতু দুই জনের নাম চেয়েছে আশা
করছি দুই জনই অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যদিও আনুষ্ঠানিক অনুমোদন বা
সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় আমরা।’
টোকিও অলিম্পিকে আরচ্যার রোমান সানা
সরাসরি নিজ যোগ্যতায় খেলেছিলেন। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে গলফার সিদ্দিক
র্যাংকিংয়ের মধ্যে থাকায় তিনিও খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এছাড়া ১৯৮৪ থেকে
অদ্যবধি বাংলাদেশের যত ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছেন সবাই ওয়াইল্ড কার্ডের
মাধ্যমে।