বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
১২ পৌষ ১৪৩১
লিগ জিতে ট্রেবলে চোখ কিংসের
প্রকাশ: রোববার, ১২ মে, ২০২৪, ১২:১৫ এএম |




ফুটবলে লিগ জয়ের মর্যাদা ও গুরুত্ব অন্য কিছুর চেয়ে ভিন্ন। সেই মর্যাদাপূর্ণ লিগ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি বাংলাদেশে বসুন্ধরা কিংসের যেন নিজস্ব সম্পত্তিই! ২০১৮ সালে লিগে পদার্পণের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসছে দলটি। তাই আজ টানা পঞ্চম শিরোপা নিশ্চিতের পর খুব বড় মাত্রায় উল্লাস ছিল না।
বসুন্ধরা কিংসে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের একাধিক খেলোয়াড় থাকলেও অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো। উঁচু মানের এই ফুটবলার কয়েক মৌসুম ধরেই রয়েছেন এই দলটির অন্যতম প্রধান কান্ডারি হয়ে। তাই শুধু লিগ জিতেই তৃপ্ত নন অধিনায়ক, ‘সামনে আমাদের আবার আবাহনীর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ (ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল)। সেই ম্যাচ জিতে এবং ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রেবল জিততে চাই।’
এক মৌসুমে তিন শিরোপা জেতার কৃতিত্ব সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। কোচ মারুফুল হকের অধীনে শেখ রাসেল ২০১২-১৩ মৌসুমে ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ ও লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এর আগে ২০০২ সালে এমন অর্জন ছিল ঢাকা মোহামেডানের।
গত মৌসুমে কিংসেরও সুযোগ ছিল ট্রেবল জয়ের। মোহামেডানের বিপক্ষে ফেডারেশন কাপ হারায় তা আর হয়নি। এবার সেই অপূর্ণতা পূরণ করতে হলে সেই মোহামেডান বাধাই পেরুতে হবে এই ময়মনসিংহে। কারণ মোহামেডান ইতোমধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টুর্নামেন্টের।
বসুন্ধরা কিংস মাঠে অপ্রতিরোধ্য। ১৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে ড্র ও পরাজিত। ১৩ ম্যাচেই জিতেছে অস্কারের শিষ্যরা। অন্য প্রতিপক্ষ তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলেও রবসনে মুখে অবশ্য অন্য কথা, ‘প্রতি মৌসুমে বাংলাদেশ লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে। আমাদের ক্লাব প্রতি মৌসুমে উন্নতি করছে ভালো দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়ের মাধ্যমে। আমরা সব ম্যাচ জিততে চেয়েছি এটাই আমাদের সব সময়ের লক্ষ্য।’
অধিনায়ক রবিনহো নিজে গোল যেমন করেন আবার করাতেও পারেন। চলতি মৌসুমে রবসনের নিজের গোলের সংখ্যা অবশ্য বেশি নয়। এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই তার, ‘কোন দল চ্যাম্পিয়ন? কিংস। এটাই আমার প্রাপ্তি আর কিছু নয়।’
জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার রাকিব হোসেন বসুন্ধরা কিংসের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আজ মোহামেডান ম্যাচকে ফাইনাল হিসেবে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন শিরোপা নিশ্চিতের পর, ‘টুর্নামেন্টে যেমন সেমিফাইনাল-ফাইনাল থাকে। আমরা আজ লিগ ম্যাচকে ফাইনাল হিসেবেই নিয়েছিলাম।’ মোহামেডান আগের লেগে কিংস অ্যারেনায় কিংসকে হারিয়েছিল। তাই আজ সাদা-কালোদের হারাতে একটু বাড়তি তাগিদ ছিল কিংসের ফুটবলারদের, ‘আমরা প্রথম ম্যাচ হেরেছিলাম ওদের কাছে। তাই হারানোর একটা তাগিদ অনুভব ছিল সবার মধ্যে। তাদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারায় ভালো লাগছে।’
বসুন্ধরা কিংস প্রথম লেগ শেষে মাত্র চার পয়েন্ট খুইয়েছিল। দ্বিতীয় লেগে এসে তিন ম্যাচ হাতে থাকতেই চ্যাম্পিয়ন। এত দ্রুত চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রসঙ্গে রাকিব বলেন, ‘এবারের লিগ গত বছরের চেয়ে কঠিনই ছিল। দ্বিতীয় লেগে প্রতিপক্ষ পয়েন্ট হারানোয় আমাদের কাজ সহজ হয়। বিশেষ করে আগের ম্যাচে আবাহনীকে আমরা হারানোর পরই আরো মসৃণ হয় লিগ শিরোপার বিষয়টি।’
জাতীয় দলের ফরোয়ার্ডরা বিদেশিদের জন্য খেলার সুযোগ পান না। কিংসে উচু মানের বিদেশিদের পাশে থেকেও নিয়মিত গোল করেছেন রাকিব। নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে বলেন, ‘এই কৃতিত্ব টিমমেট সবার। বিদেশিরাও আমাকে সহায়তা করেছে।’
স্বাধীনতার আগে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের ষাটের দশকের মধ্যে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। তবে সেটা টানা নয়। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু হওয়া ঢাকা লিগে বসুন্ধরা কিংস ক্রমেই নিজেদের অনন্য স্থানে নিচ্ছে। টানা পাচ চ্যাম্পিয়ন হয়েও আজ সেভাবে উদযাপন করেনি ক্লাবটি। শুধু চ্যাম্পিয়ন জার্সি পড়ে হাতে পাঁচ আঙুল প্রদর্শন করেছেন খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা। হোম ম্যাচে অবশ্য বড় উদযাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।















সর্বশেষ সংবাদ
এক দফা দাবি আদায়ে কুমিল্লা মেডিকেলে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি
কেএফসি এখন রাজশাহী ও কুমিল্লা তে
কুমিল্লা আসছেন সিইসি
৭ দিনের রিমান্ডে আকাশ মণ্ডল
মাস্টারের প্রতি ক্ষোভের জের ধরেই জাহাজে সাত খুন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ডাকাতদের টার্গেট প্রবাসীর বাড়ি
কুমিল্লার লাকসামে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ; ককটেল বিস্ফোরণ
শত কোটি টাকার মানহানির মামলা
কুমিল্লা আসছেন সিইসি
দীর্ঘ তের বছর পর ২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২