ভারতের ভুবেনশ্বরের ওড়িষায়
আমন্ত্রিত অ্যাথলেটিক্স টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে। সেই
টুর্নামেন্টে আজ পোলভোল্টে বাংলাদেশি অ্যাথলেট সৌরভ মিয়া জাতীয় রেকর্ড
গড়েছেন। ভারতের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে তিনি ৪.৪০ মিটার লাফিয়ে বাংলাদেশের নতুন
জাতীয় রেকর্ড গড়েন। এই ইভেন্টে বাংলাদেশের রেকর্ড ছিল ২০০৬ সালে বাংলাদেশ
নৌবাহিনীর হুমায়ন কবিরের। তিনি ৪.৩৫ মিটার লাফিয়ে ছিলেন।
বিদেশের
আমন্ত্রিত টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্সকে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের
জাতীয় রেকর্ড হিসেবে স্বীকৃতি নতুন নয়। গত বছর দ্রততম মানব ইমরানুর রহমান
একটি আমন্ত্রিত টুর্নামেন্টের টাইমিং অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন জাতীয় রেকর্ড
হিসেবে গণ্য করে। এবার ভারতের কলিঙ্গতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর পোল ভোল্টার সবুজ মিয়ার পারফরম্যান্সকেও জাতীয় রেকর্ডের
স্বীকৃতি দিয়েছে।
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের তথ্য মতে, দেশের বাইরে এবারই
প্রথম পোল ভোল্ট খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করছে। পোল ভোল্টের পাশাপাশি ৪০০ মিটার
হার্ডলেসে নারী অ্যাথলেটের অংশগ্রহনও প্রথম। ভারতের এই টুর্নামেন্টে নয় জন
অ্যাথলেটের সঙ্গে একজন ম্যানেজার রয়েছেন। খেলোয়াড়রা সবাই বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর।
অ্যাথলেটিক্সে ভারতে রেকর্ড গড়ার দিনে ভূটানে আরচ্যারিতে
পদক জিতেছে বাংলাদেশ। ভূটানে গ্র্যান্ড পিক্স দ্বিতীয় আসরে কম্পাউন্ড মহিলা
বিভাগে বাংলাদেশের বন্যা আক্তার রৌপ্য জেতেন। সেমি-ফাইনালে বন্যা আক্তার
১৪৫-১৪২ স্কোরে ভূটানের দর্জি দোলমাকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেন। ফাইনালে
তিনি ভারতের সৃষ্টি সিংয়ের নিকট পরাজিত হয়ে রৌপ্য জেতেন।
নারী ইভেন্টে
বাংলাদেশ পদক জিতলেও পুরুষ ইভেন্টে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের মোঃ সোহেল
রানা ১৪১-১৪০ স্কোরে নিজ দেশের মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানকে এবং নেওয়াজ আহমেদ
রাকিব ১৪৫-১৪০ স্কোরে ভূটানের ইউনটেন নরবুকে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল
খেলায় উন্নীত হন। কোয়ার্টার ফাইনালে মোঃ সোহেল রানা ১৩৮-১৩৭ স্কোরে ভারতের
প্রথামেশ সমধান জকারকে পরাজিত করে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হন এবং নেওয়াজ আহমেদ
রাকিব ১৪২-১৪৭ স্কোরে ভারতের চিরাং ভিদ্যার্থীর নিকট হারেন। সেমি-ফাইনালে
মোঃ সোহেল রানা ১৪২-১৪৬ স্কোরে ভারতের পান্ডেলা ত্রিনাথ চৌধুরীর কাছে
পরাজিত হন। পদক নিষ্পত্তির ম্যাচে মোঃ সোহেল রানা ১৪২-১৪৮ স্কোরে ভারতের
চিরাং ভিদ্যার্থীর কাছে হারেন।