প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৯:০১ পিএম |
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পল্লিতে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে যাওয়ার সড়কের পাশের ১০টি ফলজ গাছ কাটা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আহম্মেদ সুমন তার বাড়ির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য এই গাছ গুলি কেটে ফেলেছেন।
অভিযুক্ত আহম্মেদ সুমন গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নেপালতলী ইউনিয়নের শাহাবাজপুর কালুডাঙ্গা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। তিনি দুর্বা গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন।
জানা গেছে, উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের শাহাবাজপুর কালুডাঙ্গা গ্রামে বুরুজ ভিটাপাড়া সড়কের মাথায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আহম্মেদ সুমনের বাড়ি। দূর থেকে ওই নেতার হেলিপ্যাডসহ বিলাসবহুল বহুতল বাড়ির আলোকসজ্জা দেখা যায় না। এ ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল নিয়ে সুমনের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিল সড়কের গাছগুলো। এ জন্য দলবল নিয়ে গত শনিবার দুপুরে ১০টি গাছ কেটে ফেলেছেন সুমন। গাছ কাটতে বাধা দিতে গেলে গ্রামবাসীদের হেনস্তাও করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় বিশ বছর আগে ওই সড়কে নিজ বাড়ির সামনে স্কুলশিক্ষক আব্দুর রহমান প্রামাণিক দশটি ফলজ গাছ রোপন করেছিলেন। বছর পাঁচেক আগে গাছগুলো রেখেই বিএনপি নেতা সুমনের বাড়ি পর্যন্ত পাকা সড়ক নির্মাণ করে দেয় এলজিইডি।
স্কুলশিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, গেল বেশ কিছুদিন ধরেই গাছগুলো কেটে ফেলতে নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিল সুমন। শনিবার দুপুরে বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলে রেখে চলে যান তিনি।
বিএনপি নেতা আহম্মেদ সুমন বলেন, গ্রামের ওই সড়কটি আমার বাবা হারুনুর রশিদ মাস্টারের নামে করা। সড়কটি সংস্কার ও প্রশস্ত করতে একটি বরাদ্দ এসেছে। তাই সড়ক সংস্কারের জন্য গ্রামবাসীরা গাছগুলো কেটেছেন। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তবে বহিরাগতদের নিয়ে আসার অভিযোগ সঠিক নয়।
গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, গাছগুলো যেহেতু সড়কের ধারে ছিল তাই এর মালিকানাও সরকারের। ইউএনও অফিসের নায়েব আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ওই বিএনপি নেতা ও তার চাচার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।