মহানবী
হযরত মোহাম্মদ (সা.) ও ইসলাম ধর্ম অবমাননার দায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
(কুবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শ্রীস্বপ্নীল
মুখার্জিকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল
বডি। এছাড়াও তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫মে) সকাল ১১ টায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। পরে তারা বিক্ষোভ
মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে প্রক্টরিয়াল বডির
নিকট তিনদফা দাবি পেশ করেন। তাদের দাবিগুলো হল, স্বপ্নীলকে স্থায়ী বহিষ্কার
করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করা, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে
দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা।
এছাড়াও এসময় তার সহপাঠী নারী শিক্ষার্থীরা তার
বিরুদ্ধে টেলিগ্রাম গ্রুপে বিভিন্ন ছবি নিয়ে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ করে।
তারা দাবি জানায়, যেন দ্রুত তার ফোন থেকে সেসব ছবি ডিলিট করা হয়।
তার
আগে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমন একটা স্থানে
রাসুলুল্লাহ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করবে তা কল্পনা করা যায় না। কিন্তু তারা
এটা করে দেখিয়েছে। তার এই ইন্ধনদাতাদের কে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায়
আনতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি তাকে যেন স্থায়ী
বহিষ্কার করে; সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। আর যেন আমাদের এমন
মানববন্ধন দাঁড়াতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় তারা বিভিন্ন
স্লোগান দিতে থাকে, 'সম্প্রীতির বাংলায় উগ্রবাদীর ঠাঁই নাই,' 'বদরের
হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার' 'উগ্রবাদ নিপাত যাক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মুক্তি পাক,' 'উগ্রবাদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও,'উগ্রবাদের আস্তানা
এ ক্যাম্পাসে রাখবনা' 'সোনার বাংলা সোনার দেশ, উগ্র হিন্দুরা করলো শেষ'
এবিষয়ে
প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ম
অবমাননার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে (স্বপ্নীল) সাময়িকভাবে বহিষ্কারের
সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেছি
তারা গ্রেফতারের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এটি যেহেতু
রাষ্ট্রীয় ইস্যু তাই রাষ্ট্রপক্ষই হয়তো মামলা করবে। যদি রাষ্ট্র কোনো
ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করবো।
এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে ২৪ ঘন্টা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছে। যদি
যথার্থ ব্যাখ্যা দিতে না পারে তাহলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।