চার
গোলে ম্যাচ হারার পর সংবাদ সম্মেলনে কোচ আর কীই–বা বলতে পারেন। হয়তো
ব্যাখ্যা দিতে পারেন, এমন হারের। কিন্তু বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ
পিটার জেমস বাটলার ব্যাখ্যা-ট্যাখ্যাতেই গেলেন না। সংবাদ সম্মেলনে এসে
স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই ম্যাচ বাংলাদেশের নারী ফুটবলের নতুন এক যাত্রার
সূচনাপর্ব।
ইংলিশ কোচ এই প্রথম বাংলাদেশ দলের ডাগআউটে দাঁড়ালেন।
এসেছিলেন বাফুফের এলিট একাডেমির কোচ হিসেবে। সে দায়িত্বও পালন করেছেন বেশ
কয়েক মাস। সাইফুল বারী টিটো বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেওয়ার
পর আপাতত চীনা তাইপের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের জন্য নারী
দলেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাটলারকে। তবে বাফুফের নারী ফুটবল উইংয়ের প্রধান
মাহফুজা আক্তার কিরন জানিয়েছেন, তাইপে ম্যাচের পর বাটলারকেই নারী ফুটবল
দলের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
সে হিসাবে লম্বা সময়ের জন্যই দায়িত্ব পাচ্ছেন
বাটলার। তিনি সোজাসাপটা জানিয়ে দিয়েছেন, চীনা তাইপের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হার
নিয়ে মোটেও ভাবছেন না তিনি, ‘এই ম্যাচ নিয়ে আমি ভাবছি না। এটি আমাদের জন্য
শেখার ম্যাচ। এ ম্যাচে আমার দলের খেলোয়াড়দের লড়াইয়ে আমি খুশি। আমি তো মনে
করি, এ ম্যাচের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের নতুন দিনের সূচনা হতে
যাচ্ছে।’
রক্ষণের ভুলে আজ প্রতিটি গোলই হজম করেছে বাংলাদেশ। এটিকে অবশ্য
স্বাভাবিকভাবেই দেখতে চান কোচ, ‘সবাই ভুল করে, তরুণেরা ভুল করে। তবে
বিশ্বাস করুন, নারী ফুটবল দল দুর্দান্ত। তারা পরিশ্রমী।’
কোচ নারী দলকে
এগিয়ে নিতে চান। আজকের ম্যাচে হাই লাইন ডিফেন্স ব্যবহার করার ব্যাখ্যা তিনি
দিয়েছেন, এটি বলেই, ‘এগিয়ে যেতে হলে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হবে। রক্ষণে
ভিড় বাড়িয়ে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। আমি এই দলটার ফিফা
র্যাঙ্কিং ১০০ থেকে ৪০/৫০–এর মধ্যে নিতে চাই। আমি বাংলাদেশ দলকে মধ্যম
সারির দল বানাতে চাই।’
চীনা তাইপের কোচ চ্যান হিউ মিন হয়তো একটু
প্রতিদ্বন্দ্বিতাই আশা করেছিলেন বাংলাদেশ দলের কাছে, ‘বাংলাদেশ দল সাফ
চ্যাম্পিয়ন। তারা খুবই ভালো দল, সেটিই জানি। তবে আজ বাংলাদেশ রক্ষণের ভুলে
গোল খেয়েছে। রক্ষণটা আঁটসাঁট রেখে খেলতে পারলে আজকের ম্যাচটা আরও কঠিন হতে
পারত বলে আমি মনে করি।’