বিশ্বকাপ
ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ের শেষ দুই ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলন শুরু করেছে
বাংলাদেশ। কিংস অ্যারেনায় আজকে অনুশীলন করেছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও
মিডফিল্ডার সোহেল রানা। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা হিসেবে
কিংস অ্যারেনাকেই আখ্যায়িত করেছেন এই দুই অভিজ্ঞ ফুটবলার।
গত ২৬ মার্চ
প্যালেস্টাইন ম্যাচের আগে বাংলাদেশ কিংস অ্যারেনায় কোনো ম্যাচে হারেনি।
ফিলিস্তিন কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশের সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেও এখনো
আত্মবিশ্বাসী সোহেল রানা, 'আমরা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হেরেছি একেবারে শেষ
মুহূর্তে সামান্য ভুলে। সারা ম্যাচেই আমরা ভালো পারফরম্যান্স করেছি। কিংস
অ্যারেনায় আমরা সেই পারফরম্যান্সই প্রদর্শন করতে চাই।'
মিডফিল্ডার
সোহেলের সঙ্গে একই সুর মিলিয়েছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। তিনি বলেন, 'অবশ্যই
আমরা হোম ম্যাচে সমর্থক, মাঠ সব কিছুই আমাদের পক্ষে পাব। সেটা কাজে লাগিয়ে
ভালো কিছু করতে চাই।'
২০২৬ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল
মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে। অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলাদেশ ০-৭ গোলে
হেরেছিল। হোম ম্যাচে একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আভাস বাংলাদেশের,
'অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ছিল ঠান্ডা এবং বাতাসও ছিল প্রচুর। যা আমাদের জন্য
কষ্টকর ছিল। এখানে অস্ট্রেলিয়া ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে। আমরা
নিজেদের সেরটা দিয়ে অবশ্যই একটু ভালো করার আশা রাখি।'
হ্যাভিয়ের
ক্যাবরেরা দুই ম্যাচের জন্য ২৬ জন খেলোয়াড় ডেকেছেন। তিন জন গোলরক্ষকের
মধ্যে নেই আনিসুর রহমান জিকো। দল ঘোষণার তিন দিন পরেও আলোচনায় জিকো। আজ তপু
জিকো সম্পর্কে বলেন, 'নিঃসন্দেহে জিকো গত চার-পাঁচ বছরে দেশের অন্যতম সেরা
গোলরক্ষক। জাতীয় দল জায়গা এমন পারফরম্যান্স করে থাকতে হবে। এখন যারা এসেছে
তারা সবাই যোগ্যতা দিয়েই এসেছে।'
৬ জুন কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। তিন-চার অনুশীলন সেশনই ভরসা। এত স্বল্প সময়
হলেও বোঝাপড়া ও পরিকল্পনায় কোনো ঘাটতি না হওয়ার বিশ্বাস সোহেলের, 'দলে নতুন
কয়েকজন রয়েছে। তবে অনেকেই এক সঙ্গে খেলছি দীর্ঘদিন। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা
হবে না। আর মাত্র লিগ খেলে এসেছি সবাই ফলে ফিটনেস নিয়েও তেমন ভাবনা নেই।'