ব্যাট হাতে কাজটা
করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। দুজনেই খেলেছেন ৭০ ছাড়ানো
ইনিংস। আর বল হাতে কাজটা করেছেন ফজলহক ফারুকি। ৯ রানে এই পেসার নিয়েছেন ৫
উইকেট। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা উগান্ডাকে বড় ব্যবধানে হারাতে এর চেয়ে
বেশি কিছু আফগানিস্তানের দরকার হয়নি। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে
উগান্ডাকে রশিদ খানের দল হারিয়েছে ১২৫ রানে।
আফগানিস্তানের ৫ উইকেটে ১৮৩ রানের জবাবে উগান্ডা থেমেছে ৫৮ রানে।বিশ্বকাপে এটি আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়।
আফগানিস্তানের
সর্বোচ্চ রানের জয় এসেছে ২০২১ বিশ্বকাপে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩০ রানে
জিতেছিল আফগানিস্তান। আজ ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে মূলত পাওয়ার
প্লের মধ্যেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় উগান্ডা। পাওয়ার প্লেতে ২১ রান তুলতে ৫
উইকেট হারায় তারা। এরপর উগান্ডার ব্যাটসম্যানরা শুধু হারের ব্যবধান কমানোর
চেষ্টা করেছেন। সেটাও খুব বেশি পারেননি। উগান্ডার হয়ে সর্বোচ্চ ১৪ রান
করেছেন রবিনসন ওবুয়া। ৫ উইকেট নেওয়া ফারুকির বোলিং ফিগার টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপের চতুর্থ সেরা।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে
আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় উগান্ডা। সেই আমন্ত্রণ ভালোভাবেই
গ্রহণ করে আফগানিস্তান। দুই ওপেনার গুরবাজ ও ইব্রাহিম গড়েন ১৪.৩ ওভারে ১৫৪
রানের জুটি। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
ওপেনিং জুটি। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি এটি।
সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি এসেছিল গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ভারতের বিপক্ষে
সেমিফাইনালে জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস মিলে ১৭০ রানের জুটি গড়েছিলেন।
আজ
৪৬ বলে ৭০ রান করেন জাদরান। গুরবাজ করেন ৪৫ বলে ৭৬ রান। বিনা উইকেটে ১৫৪
রান তোলা আফগানিস্তান স্বাভাবিকভাবেই ২০০ রানের বেশি তুলতে চেয়েছিল। তবে
সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় উগান্ডা। ১৫ থেকে ২০-এই ৬ ওভারে
আফগানিস্তান রান তুলতে পারে মাত্র ৩১, উইকেট হারিয়েছে ৫ টি। সবচেয়ে বড় কথা
এই ৬ ওভারে একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেননি মোহাম্মদ নবীরা। আফগানিস্তানের
১৮৩ রানের প্রায় পুরোটাই করেছেন দুই ওপেনার। গুরবাজ ও ইব্রাহিম মিলে করেছেন
৯১ বলে ১৪৬ রান। বাকি সবাই ৩০ বলে তুলেছেন মাত্র ২৭। কেউ কোনো বাউন্ডারি
মারতে পারেননি। কসমাস কিয়েউতা ও ব্রায়ান মাসাবা দুটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৮৩ / ৫ (গুরবাজ ৭৬, জাদরান ৭০, নবী ১৪ *; কিয়েউতা ৪-০-২৫-২, মাসাবা ৪-০-২১-২, রামজানি ৪-০-৩৩-১)
উগান্ডা: ১৬ ওভারে ৫৮ / ১০ (ওবুয়া ১৪, রিয়াজাত ১১; ফারুকি ৪-০-৯-৫, নাভিন-উল-হক ২-০-৪-২, রশিদ ৪-০-১২-২)
ফল: আফগানিস্তান ১২৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফজলহক ফারুকি (আফগানিস্তান)।