কুমিল্লার
দেবিদ্বারে আবদুল আওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করার
ঘটনায় এমরান হোসেন (নাদিম পারভেজ) নামে যুবককে বাগমারা এলাকা থেকে গ্রেফতার
করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে তাকে কুমিল্লা
আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত এমরান হোসেন
(২৬) উপজেলা বরকামতা ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শফিকুল
ইসলামের ছেলে। এর আগে গত ৩ মে কুমিল্লা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী
আদালতে সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে একটি
মামলা দায়ের করেন আওয়ালের মা সামছুন নাহার বেগম। মামলার অন্য আসামীরা হলো,
শফিকুল ইসলাম, তাঁর অপর ছেলে মেহেদী হাসান, সফিকুলের ভাই ময়নাল হোসেন ও
তাঁর ছেলে মাহিন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, বরকামতা ইউনিয়নের
বাঘমারা পশ্চিম পাড়ায় আসামী শফিকুল ইসলামের ওয়ার্কশপের পাশে ভুক্তভোগী
আব্দুল আওয়ালের মায়ের দোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে অপর আরেকটি দোকান
ছিল। আব্দুল আওয়ালের ওয়ার্কশপ দোকানে বেশি কাস্টমারের মালের অর্ডার আসায়
পূর্ব থেকেই সফিকুল ইসলামের সাথে আওয়ালের শক্রতা বাড়ে। এছাড়াও শফিক ইউপি
সদস্য থাকার সময় এলাকার ঘরে ঘরে গ্যাসের লাইন করে দিবে বলে মানুষের কাছ
থেকে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ নিয়ে এলাকার লোকজনের তার কাছে
ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে এর মূলহোতা হিসেবে আওয়ালকে সন্দেহ করে সফিকুল ইসলাম।
এর জের ধরে গত ২ মে সকাল ৯টার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলামের
নেতৃত্বে তাঁর দুই ছেলে সফিকুলের ভাই ও ভাতিজা মাহিন আওয়ালকে এলোপাতারি
কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে আওয়ালকে উদ্ধার করে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার বাদি সামছুন নাহার
বেগম বলেন, দোকানে কাস্টমারের মালের অর্ডার বেশি আসায় আমার ছেলেকে শফিক
মেম্বার ও ছেলেরা কুপিয়ে জখম করেছে। মেম্বার এলাকার লোকজনদের গ্যাস দিবে
বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকার লোকজন গ্যাস না পেয়ে টাকা
খোঁজায় আমার ছেলের সাথে মেম্বারের শত্রুতার শুরু হয়। আমি আদালতে মামলা
দায়ের করেছি আমি সঠিক বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার
ইনচার্জ ( ওসি ) মো. নয়ন মিয়া বলেন, আবদুল আওয়ালকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায়
এমরান হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা জেন হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।