আল্লাহ
তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করে থাকেন সামর্থ্যবান মুসলমানেরা। কোনো
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলিম নর-নারীর কাছে ১০ জিলহজ ফজর
থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের ভেতরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব
পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
সামর্থ্য থাকার পরও
কোরবানি না করা ব্যক্তির জন্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বলেছেন, যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু
কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ইদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজা, হাদিস :
৩১২৩)
ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি করা হলেও এর গোশত খাওয়া কোনো মুসলমানের
উদ্দেশ্য নয়। সবাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রিয় এবং মূল্যবান পশু কোরবানি
করলেও তাদের উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
পবিত্র কোরআনে
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আল্লাহর কাছে পৌছায় না সেগুলোর গোশত এবং রক্ত, বরং
তার কাছে পৌছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এদেরকে তোমাদের বশীভূত করে
দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে
হেদায়াত করেছেন; কাজেই আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে। (সূরা হজ, আয়াত :
৩৭)
কোরবানির জন্য হৃষ্টপুষ্ট ও স্বাস্থ্যবান পশু নির্বাচন করতে হয়।
কোরবানির পশু সব ধরনের শারীরিক ত্রুটিমুক্ত হওয়া জরুরি। গুণগত দিক থেকে
উত্তম হলো, পশুটি দেখতে সুন্দর, নিখুঁত বা দোষত্রুটি মুক্ত ও হৃষ্টপুষ্ট।
যে পশু দেখলে পছন্দ হয়।
আবু সাঈদ খুদরি রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা.
শিংবিশিষ্ট ও মোটাতাজা একটি মেষ কোরবানি করেছেন। এর চেহারা, পা ও চোখ ছিল
মিটমিটে কালো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৮)
ছয় ধরনের গবাদি পশু কোরবানি করা যায়। এ পশুগুলো হলোÍ ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা, গরু, মহিষ, উট।
কোরবানির জন্য উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। ছাগল ও ভেড়ার বয়স এক বছর হতে হবে।
ভেড়া
ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১
বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া
ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে।
আর ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।