পাথুম
নিসাঙ্কার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে সোয়া দুইশ রানের বিশাল পুঁজি গড়ল জাফনা কিংস।
পাহারসম লক্ষ্য তাড়ায় খুনে ইনিংসে শক্ত ভিত গড়ে দিলেন দিনেশ চান্দিমাল। পরে
কামিন্দু মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে লঙ্কা
প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিতল ক্যান্ডি ফ্যালকন্স।
ডাম্বুলায় মঙ্গলবার শরিফুল ইসলামের দল ক্যান্ডির জয় ৭ উইকেটে। জাফনার ২২৪ রান তারা পেরিয়ে যায় ১০ বল বাকি থাকতে।
এলপিএলে
এত রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি নেই কোনো দলের। আগের রেকর্ডটি ছিল কলম্বো
কিংসের। ২০২০ সালে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী আসরে ডাম্বুলা ভাইকিংসের ২০৩ রান
তাড়া করে জিতেছিল কলম্বো কিংস।
দল জিতলেও এদিন একেবারেই বিবর্ণ ছিলেন
শরিফুল। ৩ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি বাংলাদেশের বাঁহাতি
পেসার। প্রতিপক্ষের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অবশ্য চল্লিশ ছোঁয়া রান দিয়েছেন
শরিফুলের আরও তিন সতীর্থ।
ক্যান্ডির বোলাররা নিজেদের মেলে ধরতে না
পারলেও, দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দেন দলটির ব্যাটসম্যানরা। ৩৪ রানে প্রথম
উইকেট হারানো ক্যান্ডিকে টানেন চান্দিমাল ও মোহাম্মদ হারিফ। দুইজনে গড়েন ৩২
বলে ৫৮ রানের জুটি।
হারিসের (৫ চারে ২৫) বিদায়ের পর কামিন্দু মেন্ডিসকে
নিয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নেন চান্দিমাল। ২২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন
তিনি। এই ওপেনারের ৩৭ বলের দুর্দান্ত ইনিংসটি থামে ৮৯ রানে। ৭ ছক্কার সঙ্গে
তিনি মারেন ৮টি চার। ভাঙে ৩৭ বল স্থায়ী ৭২ রানের জুটি।
ম্যাথিউসকে নিয়ে
বাকি পথ পাড়ি দেন কামিন্দু মেন্ডিস। দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটিতে
জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যান্ডি। দুটি করে ছক্কা-চারে ১৩ বলে ২৯ রান করেন
ম্যাথিউস। ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৬ বলে ৬৫ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন
কামিন্দু।
১৯তম ওভারে আসিথা ফের্নান্দোকে পরপর দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে
ম্যাচের ইতি টানেন কামিন্দু। তাতে ক্যান্ডির রান হয় ২৩০। এলপিএলে যা
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রেকর্ডটি জাফনা কিংসের ২৪০, ডাম্বুলা অরার বিপক্ষে ২০২২
আসরে করেছিল তারা।
ম্যাচের প্রথমভাগে আলো ছড়ান নিসাঙ্কা। টি-টোয়েন্টি
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১১৯ রান করেন তিনি। তার ৫৯ বলের ইনিংসটি গড়া ৪
ছক্কা ও ১৬টি চারে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তার চমৎকার ইনিংসটি বিফলে গেল।
কুসাল
মেন্ডিসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১১২ রান তোলেন নিসাঙ্কা। যেখানে অগ্রণী
ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে অবশ্য
বেশিরভাগ রান করেন রাইলি রুশো। ২৭ বলে ৫০ রানের যুগলে রুশোর রানই ছিল ১৮
বলে ৪১।
রুশোর বিদায়ের পর আভিশকা ফের্নান্দোর সঙ্গে ১৪ বলে ৪০ রানের
জুটি গড়েন নিসাঙ্কা। ৫২ বলে সেঞ্চুরি করা ওপেনারের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি।
শেষ দিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট না হারালে আরও রান হতে পারত জাফনার। তবে ২২৪
রানও জয়ের জন্য কম ছিল না। কিন্তু তাদের বোলাররা পারেননি নিজেদের মেলে
ধরতে।