কুবি
প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের নারী
শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ-জহুরা মীমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে
'কুরুচিপূর্ণ বুলিং' করেন বলে অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের আমিনুর বিশ্বাস
নামের এক সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ‘বুলিংয়ের’ প্রতিবাদে নৃবিজ্ঞান
বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাদদেশে পৌঁনে বারোটার দিকে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনের
শিক্ষার্থীরা আমিনুর বিশ্বাসের বিচার দাবি করেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসনকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বুলিংয়ের শিকার
ফাতেমাতুজ-জহুরা মিমের সহপাঠী আসাদ আরাফাত বলেন,'' আমিনুর বিশ্বাস আমার
সহপাঠীকে সাইবার বুলিং করেন। তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। মুক্তিযুদ্ধ
মঞ্চের মত একটা সংগঠনের সভাপতি হয়ে তিনি এধরনের কাজ করেছেন। যা সত্যিই
নিন্দনীয়। তার মতো একজন ঘৃণ্য ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা হন কী করে?
প্রশাসনের কাছে আমার দাবি থাকবে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হোক।'
গণযোগাযোগ
সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ মিয়া কাওছার বলেন, ''সভ্যতা গড়ে উঠতে
নারী পুরুষের সমান অবদান আছে। ১১ জুলাই পুলিশি হামলার প্রতিবাদে
ফাতেমাতুজ-জহুরা মিম আপুর সাহসী নেতৃত্বে কুবি শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবস্থান
নেয়। আমিনুর বিশ্বাস তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ
মন্তব্য করেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে
আমাদের লজ্জা করে।"
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার
বলেন,''আমিনুর বিশ্বাসের এই ধরনের কর্মকা- এই প্রথম নয়। আমিসহ আমার মেয়ে
সহপাঠীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন। আমরা চাই
প্রশাসন যাতে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। আর যাতে কোনো মেয়ে
শিক্ষার্থী তার হেনস্তার শিকার না হয়।"
ঘটনার সূত্রপাত গত ১১ জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার পর
ফাতেমাতুজ-জহুরা মিমসহ আরও কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে কুবি শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের সাহসিকতার খবর ছড়িয়ে পড়লে আমিনুর
বিশ্বাস মেয়েদেরকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। পরে ফাতেমাতুজ-জহুরা মিমকে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। এরই প্রতিবাদে নৃবিজ্ঞান
সহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।