ভাত
খাওয়ার জন্য সৎ মায়ের কাছে বায়না ধরেছিল আট বছরের শিশু আবদুল্লাহ। তাই
বিরক্ত হয়ে গলায় ওড়না পিঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে সৎ মা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত
সৎ মা লিজা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টার
দিকে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামে মর্মান্তিক এই ঘটনা
ঘটে। এ ঘটনায় নিহত আবদুল্লাহর বাবা আমানুল্লাহ সরকার বাদী হয়ে লিজা
আক্তারকে একমাত্র আসামী করে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার লিজা আক্তার মুরাদগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের
আমির হোসেনের মেয়ে।
নিহত মো. আবদুল্লাহ ইউসুফপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার
ঘোড়া গাজী সরকার বাড়ির আমানউল্লাহ ছেলে। সে একই গ্রামের একটি স্কুলে
দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নয়ন মিয়া।
ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী
জানিয়েছেন, গত তিন বছর আগে আবদুল্লার বাবার সাথে তার মায়ের ডির্ভোস হয়। পরে
লিজা আক্তারকে বিয়ে করেন। বর্তমানে লিজার আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান
রয়েছে। লিজার নিজের ছেলে সন্তান হওয়ার পর সৎ ছেলে আবদুল্লাহকে সয্য করতে
পারছিলেন না। প্রায়ই সময় শিশু আবদুল্লাহকে মারধোর ও নির্যাতন করতেন লিজা।
শনিবার সকালে আবদুল্লাহ লিজার কাছে ভাত খেতে চাওয়ায় বিরক্ত হয়ে শিশু
আবদুল্লাহর গলায় ওড়না পিঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ
বাড়ির উঠান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উঠানে আবদুল্লাহর লাশ পড়ে আছে গলায় দাগ কয়েকটি পাওয়া গেছে।
নিহত আবদুল্লাহর বাবা আমানুল্লাহ সরকার বলেন, আমার সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি।
দেবিদ্বার
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, অভিযুক্ত লিজাকে গ্রেপ্তার
করা হয়েছে। আবদুল্লাহর বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেরছেন।
ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশের সুরতহাল দেখে মনে হয়েছে তাকে হত্যা
করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
মর্গে পাঠানো হয়েছে। রবিবার লিজাকে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে
পাঠানো হবে।