জয় সূচক গোলে জড়িয়ে আছেন
৯৭তম মিনিটে এক সঙ্গে বদলি নামা লাউতারো মার্তিনেস, জিওভানি লো সেলসো ও
লেয়ান্দ্রো পারদেস।ম্যাচ গড়াচ্ছে টাইব্রেকারের দিকে। সেদিকে চোখ রেখেই হয়তো
পেনাল্টি শুটআউটে আর্জেন্টিনার নিয়মিত দুই জন লাউতারো মার্তিনসে ও
লেয়ান্দ্রো পারেদেসের সঙ্গে জিওভানি লো সেলসোকে নামালেন লিওনেল স্কালোনি।
সেই বদলি ত্রয়ীর নৈপুণ্েযই পরে ততদূর গড়াল না ম্যাচ! তিন জনের মিলিত অবদানে
দারুণ এক গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখল
আর্জেন্টিনা।
টিকেটহীন দর্শকদের ঝামেলায় বাংলাদেশ সময় সোমবার দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে লিওনেল স্কালোনির দল।
১১২তম
মিনিটে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জালের দেখা পেয়েছেন মার্তিনেস। পঞ্চম গোলে আসরের
সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনিই। আর কারও নেই তিনটির বেশি গোল।
আসর জুড়েই বদলি
নেমে গোল পাচ্ছিলেন মার্তিনেস। ফাইনালও এর ব্যতিক্রম নয়। ৯৭তম মিনিটে এনসো
ফের্নান্দেস, আলেক্সিস মাক আলিস্তের ও হুয়ান আলভারেসের জায়গায় পারেদস ও লো
সেলসোর সঙ্গে মাঠে আসেন তিনি।
মাঝমাঠে দুর্দান্ত স্লাইডে কলম্বিয়ার
আক্রমণ রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনার পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন পারেদেস। তাকে
বল ফিরিয়ে দিয়ে ডি বক্সের দিকে ছোটেন ইন্টার মিলানের হয়ে দারুণ একটি মৌসুম
কাটিয়ে আসা মার্তিনেস।
বল পেয়ে দেরি করেননি পারেদেস, খুঁজে নেন ফাঁকায়
থাকা লো সেলসোকে। কলম্বিয়ার দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে প্রথম স্পর্শে অসাধারণ
থ্রু বল বাড়ান এই মিডফিল্ডার।
সেটা ধরে এগিয়ে গিয়ে ডি বক্স থেকে আগুয়ান
গোলরক্ষেকর মাথার উপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন মার্তিনেস। স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ে
এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
ততক্ষণ হামেস রদ্রিগেস, লুইস দিয়াসের মতো তারকা খেলোয়াড়দের তুলে নিয়েছিলেন নেস্তর লরেন্সো। সেই গোলের আর আর জবাব খুঁজে পাননি তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মলেনে আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি জানালেন, গোল পাওয়ার আশাতেই এক সঙ্গে তিনটি পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি।
“ওরা খারাপ করছিল না। এনসো ভালো করছিল, আলেক্সিসের একটি হলুদ কার্ড ছিল। আর আমরা জানতাম হুলিয়ান তার দৌড় থামাবে না।”
“আমরা
ভেবেছিলাম, স্রেফ একটা সুযোগ প্রয়োজন। যদি একটা সুযোগ পায় লাউতারো সেটা
কাজে লাগাতে পারবে। লো সেলসো শেষ পাসটা দিয়েছিল, সে ‘টিম প্লেয়ার’ তাকে
আমরা খুব পছন্দ করি। লেয়ান্দ্রোর ব্যাপারে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই, সে
সব সময়ই আমাদের সঙ্গে আছে। সে শুরুর একাদশে থাকার মতো একজন, আজ বেঞ্চ থেকে
এসেছে।”
শেষ দিকে এসে খেলায় আরেকটু গতিময়তা চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। নতুন আসা খেলোয়াড়রা ঠিক সেই কাজটা করায় ভীষণ খুশি স্কালোনি।
“আমরা
গতি বাড়াতে বাড়াতে চেয়েছিলাম, আমার মনে হয় ওরা সেটাই করেছে। লেয়ান্দ্রো
বেশ কিছু বল পুনরুদ্ধার করেছে, লাউতারো অবিরাম চেষ্টা করে গেছে। গোলটা ওর
প্রাপ্য ছিল, কারণ সে অনেক ভুগছিল।”
“আমি জানি সে আমাকে নিয়ে খুশি নয় আর
সেটা ভুলও নয়। কারণ, সে খেলতে চায়। সে (টুর্নামেন্টের) সর্বোচ্চ গোলদাতা
তবুও শুরুর একাদশে রাখছি না। তবে ব্যাপারটা এমনই। আমরা ঠিক বা ভুল যাই হই,
বিশ্বাস করি দলের এভাবেই খেলা উচিত। এটাই আমাদের জয় এনে দেয়। আজীবন
কৃতজ্ঞ।”