কোটা সংস্কার আন্দোলনে মারা গেলে মরদেহ নিয়ে কী করতে হবে, তা সোমবারই (১৫ জুলাই) ফেসবুক পেজে পোস্ট শেয়ার দিয়ে জানিয়েছিলেন রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র আবু সাঈদ (২২)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আদনান আবিরের মন্তব্য শেয়ার করেন আবু সাঈদ। আদনানকে উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন: ‘যদি আজ শহিদ হই তবে আমার নিথর দেহটা রাজপথে ফেলে রাখবেন।’
তিনি আরও লেখেন: ‘ছাত্র সমাজ যখন বিজয় মিছিল নিয়ে রুমে ফিরবে তখন আমাকেও বিজয়ী ঘোষণা করে দাফন করবেন৷’
‘একজন পরাজিতের লাশ কখনো তার মা-বাবা গ্রহণ করবে না’, লেখেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। অনেক পুলিশ সদস্য এতে আহত হয়েছেন। একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। তিনি কীভাবে মারা গেছেন, তা বলতে পারছি না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘দুপুরে বেরোবির কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হন।’