১৬ বছর পর নারীদের এশিয়া
কাপের আয়োজক শ্রীলঙ্কা। ৮ দলের এ টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াকে পেয়েছে বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে
ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গী সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেপাল।
১৯ জুলাই থেকে
শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। পর্দা নামবে ২৮ জুলাই। প্রতিযোগিতার আট আসরের
সাতবারই চ্যাম্পিয়ন ভারত। অন্য একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮
সালে মালয়েশিয়ায় হওয়া টুর্নামেন্টের ফাইনালে শেষ বলে ভারতকে হারিয়েছিলেন
সালমা–জাহানারারা।
এ বছর ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে
বাংলাদেশ। এর আগে এশিয়া কাপ হচ্ছে শেষ প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক প্রতিযোগিতা।
নিজেদের গুছিয়ে নেওয়া, সাম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি দেওয়ার এটাই সর্বোচ্চ
সুযোগ।
মঙ্গলবার এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেছেন,
‘এশিয়া কাপ আমাদের মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য অন্যরকম একটা আবেগের জায়গা। ২০১৮
সালের এশিয়া কাপ জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে কিন্তু বড় রেভলুশন
হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া
যাবে এশিয়া কাপের মাধ্যমে। শেষ দুটি সিরিজ খারাপ গিয়েছে, আমরা একটা ম্যাচও
জিততে পারিনি। এরপর আমাদের একটা লম্বা বিরতি গেল, আমরা এ সময় ঘরোয়া
ক্রিকেট খেলেছি। সেখানে যারা ভালো করেছে, তারা আমাদের দলে আছেন। সর্বশেষ
ক্যাম্পেও দেখলাম সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমরা এখন ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য
মুখিয়ে আছি।’
নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে অধিনায়ক বলেছেন, ‘সর্বশেষ এশিয়া কাপে
আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লক্ষ্য
সেমিফাইনাল। এর জন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ
লম্বা সময় ধরে আমরা ভালো করছি না। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখেছি,
কিন্তু দল হিসেবে ভালো করিনি। আমাদের ছন্দের জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম
ম্যাচটা ভালো করে শুরু করতে চাই।’
লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরেছেন দুই
সিনিয়র রুমানা আহমেদ ও জাহানারা আলম। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুজনই
ভালো করে জাতীয় দলে জায়গা ফিরে পেয়েছেন। তাদের থেকে বড় কিছুর প্রত্যাশায়
জ্যোতি, ‘অভিজ্ঞতা সবসময় কাজে লাগে। তারা দুজনই সর্বশেষ দুটি এশিয়া কাপে
খেলেছেন। রুমানা আপু অনেকদিন পর ফিরলেন। জাহানারা আপুও। দুজনই কিন্তু
সর্বশেষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। এই দুজন অভিজ্ঞ
খেলোয়াড় আমার মনে হয় দলে অনেক বড় প্রভাব ফেলবে।’