কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর হস্তক্ষেপে একটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের মেহেরকুল দৌলতপুর গ্রামে। সোমবার (১৬ জুলাই) রাত ১০.৩০ টায় এ ঘটনা ঘটে।
কনে ওই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। আর বর হচ্ছেন পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা। অভিযোগ আছে কাজের সন্ধানে এসে একের পর এক বিবাহ করছেন এই রাজমিস্ত্রী।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দৌলতপুর গ্রামের শুক্কর আলীর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। কনের বয়স ১৪ বছর। সে দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় জাল জন্মনিবন্ধন দেখিয়ে বিয়ের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ইউএনও আসার খবর শুনে বিয়ে বাড়ী থেকে বর সহ সকলে ছিটকে পড়ে। পরে ওই ছাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া হবে না, এই মর্মে কনের অভিভাবকদের নিকট হতে মুচলেকা নেওয়া হয়।
বাগমারা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে বাল্য বিবাহের খবর জানতে পেরে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবহিত করি । আমার ইউনিয়নে কোন বাল্য বিবাহ, মাদক, নারী নির্যাতন ইত্যাদি ঘৃণিত কার্যক্রম বন্ধে আমরা বদ্ধ পরিকর। কেউ এরকম অপরাধ করলে রেহাই পাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, বাল্য বিবাহ বেআইনি। এতে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে। বাল্য বিবাহ হচ্ছে মাতৃ মৃত্যু, নারী নির্যাতন ইত্যাদির প্রধান অনুঘটক। বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে ওই গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। বাল্য বিবাহের শিকার শিক্ষার্থীর পড়াশোনা চালিয়ে নিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।