প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪, ১২:০৩ এএম |
কয়েক বছর ধরেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সবচেয়ে
বড় সমস্যা। কোনোভাবেই এই সংকট থেকে মুক্তি মিলছে না। গণমাধ্যমের খবরে বলা
হয়েছে, দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দীর্ঘদিন ধরে ৯ শতাংশের বেশি।
মূল্যস্ফীতির তুলনায় সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ
মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো কঠিন করে তুলছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা বাজার তদারকিতে কাজ করছে।
তার পরও পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। সেই সঙ্গে গত কয়েক দিনের
পরিস্থিতি বাজারকে আরো বেশি অস্থির করে তুলেছে।
আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন
বন্ধ। এখন মজুদ পণ্য দিয়ে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণই এখন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার কতটা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে?
বাংলাদেশের
উন্নয়ন অভিযাত্রায় এখন বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে সর্বস্তরে।
মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাজার কোনোভাবেই স্থিতিশীল হচ্ছে না।
ভোক্তার
অস্বস্তি কাটছে না। বাজার কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকছে
না। মূল্যস্ফীতির কারণে নি¤œ আয়ের মানুষ প্রচ- চাপের মধ্যে রয়েছে।
মূল্যস্ফীতি দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলছে। সাধারণ মানুষের
জীবনযাত্রা আরো কঠিন করে তুলছে।
বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি বা মূল্যস্ফীতি
সাধারণের জীবনমানে বড় ধরনের আঘাত হানে। ব্যয় সংকোচন করতে করতে সাধারণ
মানুষ নাকাল হয়। কিন্তু তার পরও পথ খুঁজে পায় না। শেষে দৈনন্দিন খরচ সংকোচন
করে সামাল দিতে হয়।
প্রশ্ন উঠতে পারে, কী করছে সরকার? সরকারের কি কিছুই
করণীয় নেই? নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখাকে বিশেষ অগ্রাধিকার
দিয়েছে সরকার। বাজার বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলে এসেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে
পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেই মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা রোধ করা যাবে না। তার
কারণ বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে অনেক বিষয় থাকে। প্রথমে খুঁজে বের
করতে হবে কী কারণে বাজারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, সেটা। যেসব কারণে বাজারে
পণ্যের দাম বাড়ছে, সেগুলো রোধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার বাজার নিয়ে
শুরু থেকেই সক্রিয় ভাব দেখিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখাকে
বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিদ্যমান উচ্চ
মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে, এ কথা নতুন
করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন এবং আন্তর্জাতিক নানা
চাপ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে সরকার। নিজেদের অবস্থানও শক্ত করেছে। অনেক
ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে সফলভাবে। এখন সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফেরাতে বাজারে
সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য যেন বাজারে আসে তার ব্যবস্থা নিতে হবে।