কোটা
সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে রাজধানীসহ
সারাদেশে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৩০
জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজধানীতেই গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার করা
হয়েছে ৬০১ জনকে। গ্রেফতারদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।
গ্রেফতার এক হাজার ৬৩০ জনের মধ্যে র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন ১২৬ জন।
পুলিশ
সূত্র বলেছে, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় রাজধানীতে ১২ জুলাই থেকে গতকাল
মঙ্গলবার পর্যন্ত ১২ দিনে মামলা হয়েছে ১৩৩টি। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার
৬৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত কয়েকদিনেই গ্রেফতার করা হয়েছে
এক হাজার ১১৭ জনকে। বুধবার (২৪ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক
রিলেশনসের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি জাগো নিউজকে
জানান, রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন থানায়
গত দুদিনে করা ৩৮টি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সদরদপ্তরের
একটি সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের সহিংসতায় সারাদেশে নিহত পুলিশ
সদস্যের সংখ্যা তিনজন, আহতের সংখ্যা ১ হাজার ১১৭ জন। ঢাকাসহ সারাদেশে
পুলিশের ২৮১টি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময়ে পুলিশের
বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি মিলিয়ে ২৫৩টি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা
হয়েছে।
গতমঙ্গলবার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে
অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন,
নাশকতাকারীরা বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকুক, তাদের খুঁজে খুঁজে গ্রেফতার
করা হবে।
এদিকে, বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলসহ রাজধানীর রামপুরা, মিরপুরসহ
দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব। মিরপুর ও বাড্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল কারওয়ান
বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের
লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস।
র্যাব
মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ হয়নি। ছাত্রদের যারা আন্দোলন
করছিল, সেখানে কোনো সহিংসতা ছিল না। ছাত্ররা আমাদের প্রতিপক্ষ না, সাধারণ
মানুষও আমাদের প্রতিপক্ষ না।