ভারতের বিপক্ষে
বিব্রতকর ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও এলোমেলো বাংলাদেশের মেয়েরা। নারী এশিয়া
কাপের সেমিফাইনালের মঞ্চে তার খেসারত দিতে হয়েছে বড় ব্যবধানে হেরে।
ফাইনালে
যাওয়ার লড়াইয়ে ডাম্বুলায় ভারতের সামনে মাত্র ৮১ রানে লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে
ভারত।
প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট কেটেছে দেশটি। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ী দল হবে ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ।
যে
উইকেটে রান করতে খাবি খেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা সেখানে দুর্দান্ত ব্যাটিং
করেছেন ভারতের দুই ওপেনার। এক প্রান্তে শেফালি ভার্মা ধীর গতিতে এগিয়েছেন
আর অন্য প্রান্তে ঝড় তুলেছেন স্মৃতি মান্ধানা।
স্মৃতি মাত্র ৩৯ বলে ৫৫
রান করে অপরাজিত ছিলেন। টানা দুই চারে ফিফটি তুলে নেন ৩৮ বলে। তার ইনিংসটি
সাজানো ছিল ৯টি চার ও ১টি ছয়ে। আরেক ওপেনার শেফালি ২৮ বলে ২৬ রান করে
অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের নাহিদা মাত্র ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩৪ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কোনোমতে টেনেটুনে ৮০ রান করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ইনিংসের
তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে ভালো সূচনার আভাস দেন দিলারা আক্তার। কিন্তু পরের
বলেই তার আউটে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে দুই চারে ঘুরে দাঁড়ানোর
আভাস দেন ইসমা তানজীম। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ইশমা সাজঘরে ফিরলে রানের গতি
কমে যায়। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ৮ রান।
প্রথম ২ ওভারে ১৬ রান এলেও
পাওয়ার প্লে’র শেষ চার ওভারে আসে মাত্র ৯ রান! রুমানা আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে
এগোতে থাকেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু দুজনে রান তুলতে পারেননি বলের
সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। অন্যদিকে রানের চাপে পড়ে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশের
মেয়েরা।
আসা যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেন নিগার।
কিন্তু ব্যাট হাতে চড়াও হতে পারছিলেন না। শেষ ওভারের প্রথম বলে আউটের আগে
তিনি ৩২ রান করেন। খরচ করেন ৫১ বল। শেষে নেমে ১৯ রান করেন স্বর্ণা আক্তার।
তার এই রান কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ শিবিরকে।ভারতের হয়ে
সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করেনেন রেনুকা সিং ও রাধা যাদব।