নরসিংদী
জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের এক সদস্যকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায়
থেকে জুয়েল ভূঁইয়া নামে কয়েদিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সেইসঙ্গে
কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫টি অস্ত্র, হাতকড়া ও এক হাজার ৯১ রাউন্ড গুলি
উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
পালিয়ে যাওয়া ৯
জঙ্গি সদস্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হছেন। জুয়েল ছাড়া অন্য
তিনজন হলেন, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ফারুক আহাম্মেদ, সিটিটিসির হাতে
গ্রেপ্তার খাদিজা পারভীন ওরফে মেঘলা ও ইসরাত জাহান ওরফে মৌসুমী। আর এ
পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছে ৪৮১ কয়েদি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে
সহিংসতায় ১৯ আগস্ট বিকেলে নরসিংদী কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা
ঘটে। আন্দোলনকারীরা কারাগারের ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে ফেলে। সেখান থেকে
৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়। কারাগারের অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের কাছ
থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫০টি গুলি লুট করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্বাধীনতাবিরোধীরা কারাগারে
অগ্নিসংযোগ করেই ক্ষ্যান্ত হননি। তারা ডিসি অফিস, এসপি অফিস, আদালত পাড়াসহ
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেন।
তারা কারাগার থেকে লুট করা অস্ত্র ও গুলি দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করেন। পুলিশ সদস্যরা জীবনবাজি রেখে তাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে সরকারি
সম্পদ ও জানমাল রক্ষা করেন।
লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে পুলিশ
সুপার বলেন, নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার পরপরই লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে
চিরুনি অভিযানে নামে পুলিশ। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যাবধানে লুট হওয়া
আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৪৫টি উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি
রাইফেল ও ১০টি শটগান রয়েছে। এছাড়া এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পাশাপাশি কারাগারে হামলার ঘটনায় পৃথক ১১টি মামলায় ১৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে
পুলিশ। তাছাড়া এখন পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি এবং জেলা পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে
যাওয়া ৪৮১ জন কয়েদি আত্মসমর্পণ করেছে।