নিজস্ব
প্রতিবেদক: দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফিরছে পুরনো
চিরচেনা রূপে। ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরির মতো পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন থেকে
শুরু করে স্বল্প কিংবা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যাও বাড়ছে
সমানতালে। পণ্য ও যাত্রীবোঝাই এসব পরিবহন নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে মহাসড়ক
নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রশাসন। এতে স্বস্তিতে যাত্রী, চালক এবং শ্রমিকরা।
সরেজমিনে
ঘুরে দেখা যায়, দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের কুমিল্লার ১০৪ কিলোমিটার সড়কের কোথাও কোন সমস্যা কিংবা দুর্ভোগ
নেই। নির্দিষ্ট সময়েই গন্তব্যে পৌছছে যাত্রী পরিবহন। যাত্রীরা ভিড় জমাচ্ছেন
টিকিট কাউন্টারগুলোতে। চট্টগ্রাম বন্দ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পণ্য
পরিবহনগুলোও কুমিল্লা অতিক্রম করছেন স্বস্তিতে। একই দৃশ্য দেখা গেছে
কুমিল্লা-নোয়াখালী, কুমিল্লা-চাঁদপুর ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক
মহাসড়কগুলোতেও।
পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা জানান, স্বাভাবিক হচ্ছে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ফিরছে পুরনো চিরচেনা রূপে। মহাসড়কের বাড়ছে পণ্য
পরিবহন এবং স্বল্প ও দূরপাল্লার পরিবহনের সংখ্যা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া
হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌছছে যাত্রীরা।
স্বস্তিতে চালক ও শ্রমিক।
প্রশাসন বলছে, অর্থনীতির লাইফলাইন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সচল রাখতে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। গন্তব্যে
পৌছতে যাত্রীদের জন্যেও তৈরি করা হয়েছে সর্বাত্মক নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে জেলা পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও টহলে আছেন।
এদিকে
গত কুমিল্লা টাউনহল মাঠে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ তিন বাহিনীর উপস্থিতিতে
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও কুমিল্লার পুলিশ সুপার
সাইদুল ইসলাম এসময় কথা বলেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর
রহমান, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় তৈরি হওয়া সংকট কেটে
মানুষের জীবযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কুমিল্লায়। একই সঙ্গে দেশের
অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানবাহনের চলাচলও
স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। গন্তব্যে পৌছতে যাত্রীদের জন্যেও তৈরি করা হয়েছে
সর্বাত্মক নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম
বলেন, সহিংসতা তৈরি করে পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি পোড়ানো এবং গুজব রটানোদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রশাসন। এদিকে পৃথক ৫ মামলায়
বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত ১১৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।