ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয়
দেশের শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রণ ও নিজ নাগরিকদের কাজের সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে
বিস্তৃত পরিসরে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে
কার্যকর হতে যাওয়া নতুন এই পদক্ষেপের ফলে দেশটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ কঠিন
হয়ে পড়বে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারের ওমানিকরণ প্রকল্পের
লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এমন বেসরকারি খাতের সব কোম্পানির সাথে কাজ
করা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সব প্রশাসনিক শাখা ও সরকারি মালিকানাধীন
সংস্থাগুলোকে বিরত থাকতে হবে।
এছাড়া বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোকে এখন
থেকে সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক প্রশংসাপত্র নিতে হবে।
এর মাধ্যমে কাজের মান ও ওমানিকরণ কোটার সাথে তাদের সম্মতি যাচাই-বাছাই করা
হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের মতো ওমানও নিজ দেশের নাগরিকদের
কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওমানিকরণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
ওমানি
নাগরিকদের কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়
৩০টিরও বেশি নতুন পেশা যুক্ত করেছে। আর এসব পেশায় বিদেশি প্রবাসী কর্মীরা
কাজ করতে পারবেন না। স্থানীয় কর্মীদের জন্য আরও বেশি চাকরির সুযোগ তৈরি
করার লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
সরকারি
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের বেসরকারি খাতের সব প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত বলে
মনে করা পদে কমপক্ষে একজন ওমানি নাগরিককে নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে।
এই প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ভবিষ্যতে বিস্তারিত বিধানসহ আইন তৈরি করা হবে।
দেশটির
শ্রম মন্ত্রণালয় বিভিন্ন খাতে ওমানিকরণ প্রকল্পকে জোরদার করার লক্ষ্যে
একটি আর্থিক প্যাকেজও অনুমোদন করেছে। প্রণোদনা ব্যবস্থা হিসাবে ওয়ার্ক
পারমিট ফিতেও সামঞ্জস্য আনার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির এই মন্ত্রণালয়। এতে
ওমানিকরণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর খরচ দ্বিগুণ করার
প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।