সাম্প্রতিক
সংঘাত সহিংসতার ঘটনায় গত কয়দিনে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮৩ জনকে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিএনপি ও
জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার পাওয়া তথ্য মতে,
সর্বশেষ আরো ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ
সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় সহিসংতার ঘটনায় আট মামলায় অন্তত ৮ হাজার জনকে
আসামি করা হয়েছে। দায়েরকৃত ৮টি মামলার মধ্যে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় তিনটি,
কোতয়ালী মডেল থানায় ২ টি, দাউদকান্দি থানায় দুটি এবং বুড়িচং থানায় একটি। ৮
টি মামলার মধ্যে ৬ টির বাদী হয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে সদর দক্ষিণ থানায় ৩
মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো সাড়ে ৭ হাজার মানুষকে মামলায় আসামি
করা হয়। বুড়িচং থানার মামলায় ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে নামে
মামলা দায়ের করা হয়। দাউদকান্দি থানায় ২ টি মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে
অজ্ঞাত আরো ২৮০ জনকে আসামি করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান
জানান, সহিংসতার ঘটনায় গত কয়েকদিন ১৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের বেশির
ভাগ জামায়েত বিএনপির নেতাকর্মী। গেলো ২৪ ঘন্টায় আরো ১১ জনকে গ্রেফতার করা
হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির
কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক
শহিদুল্লাহ রতন, মহানগর জামায়াতের দফতর সম্পাদক আবুল হাশেম, মহানগর জামায়েত
যুগ্ম নায়েবে আমির মহিউদ্দিন আহমেদ, কাউন্সিলর ইকরামুল হক বাবু, সদর
উপজেলা জামায়াতের আমীর নাছির আহমেদ মোল্লা, জগন্নাথপুর ইউপি আমীর মোঃ জসিম
উদ্দিন, মহানগর জামায়াতের সদস্য ইসরাইল মজুমদার, ২৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের
সভাপতি মোঃ নাজমুল হাসান শাকিব, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মাহমুদ
হাসান রবিন মজুমদার, ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি দুলাল মিয়া, কুমিল্লা
মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি গাজী মোঃ ফয়সাল, ২১ নং ওয়ার্ড যুবদল সহ সভাপতি
জাকির হোসেন ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক
তোফায়েল হোসেন কাউসার, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ
সম্পাদক খলিল, ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মাসুম বিল্লাহকে বিভিন্ন সময়
অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার
মোঃ সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যারা সংঘাত-নাশকতার ইন্ধনদাতা
তাদেরও খুঁজছে পুলিশ। যারাই নাশকতার সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা
হবে।