মেট্রোরেলের
মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন পুনরায় চালু করতে জাপানের
কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৭ জুলাই)
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে তার
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই সহায়তা চান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
বৈঠকে
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা প্রথমে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি
নিরূপণ করবেন, তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে বাংলাদেশকে স্টেশনগুলো পুনরায়
চালু করতে সাহায্য করতে পারেন।
এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক তা-বে হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্বৃত্তরা জনকল্যাণ, নিরাপত্তা ও সেবার জন্য
নির্মিত সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তারা সেসব স্থাপনায় হামলা
করেছে, যেগুলো জনগণের জন্য উপকারী ছিল। এটা আমার জন্য খুবই কষ্টের।
অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাপানের
রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের ব্যবসায়ীরা আগস্টের দ্বিতীয়ার্ধে টোকিওতে
অনুষ্ঠেয় পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগের ইপিএ আলোচনার জন্য অপেক্ষা
করছেন। ওই ডায়ালগের আগেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা
প্রকাশ করেন তিনি। এই ডায়ালগ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হতে সহায়তা করবেন বলে জানান
তিনি।
মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, মেট্রোরেলে হামলার পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু লোক
রয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ এর সুবিধাভোগী। মেট্রোরেল নির্মাণে অনেকের ঘাম
ও অশ্রু আছে। তিনি মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি দেখেছেন, যা তাকে অনেক
কষ্ট দিয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও
অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন
মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস