বন্ধের
সাত ঘণ্টা পর আবারো মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চালু করে দেয়া
হয়েছে। তবে এখনো বন্ধ আছে টেলিগ্রাম। শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার পর
ফেসবুকের ক্যাশ সার্ভারগুলো আবারো সচল করে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে
মোবাইল অপারেটররা।
এদিন দুপুর ১টার দিকে অনেক ব্যবহারকারী জানান, মোবাইল
ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকে ঢুকতে সমস্যার মুখে পড়ছেন তারা। ব্যবহার
করতে পারছেন না টেলিগ্রামও।
মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা যায়, মোবাইল
নেটওয়ার্কে ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তাই দুপুর
১২টার পর থেকে ফেসবুকের ক্যাশসার্ভারগুলো ডাউন করে রাখে মোবাইল অপারেটররা।
কোটা
সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল
ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ
দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর
২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক,
মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম।
এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়।
অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডাটায় তা বন্ধ ছিল।
৩১ জুলাই দুপুরের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ
ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে
সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে
এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি গত ৩১ জুলাই ফেসবুকের
সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেয় এবং টিকটকের
প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।