নিজস্ব
প্রতিবেদক: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন
কর্মসূচির প্রথম দিনে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৬টি গাড়ি ভাংচুর ও
আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে, টায়ারে আগুন অবরোধ
এবং বিক্ষোভ মিছিল করে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
জানা
যায়, রবিবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
দাউদকান্দি উপজেলার ইলেটগঞ্জ এলাকায় সড়কে বেরিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে
আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা স্থানীয় রিলায়েবল সিএনজি এন্ড পেট্রোলিয়াম ফিলিং
স্টেশন এর পাশে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেয় । আগুনে
পুরো গাড়িটি সড়কেই পুড়ে যায়। এসময় সময় তারা ফিলিং স্টেশনটিতেও ভাঙচুর চালায়
বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীরা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জে গৌরিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ
রোমেল বড়–য়ার প্রাইভেটকার আগুনে পুড়িয়ে দেয়। একই স্থানে দাউদকান্দি মডেল
থানার তদন্ত কর্মকর্তা শফিউল্লাহ প্রধানের গাড়িটিতে ভাংচুর চালিয়ে খাদে
ফেলে দেওয়া হয়। কাছাকাছি সময়ে শহীদ নগরে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি
মোজাম্মেল হকের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ইলিয়টগঞ্জে পুলিশের একটি রেকারে
আগুন দেওয়া হয়।
এদিন দাউদকান্দি সদর সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদে
অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসলাম মিয়াজী আহত
হন। এছাড়াও দাউদকান্দির শহীদনগরে অবস্থিত ট্রমা সেন্টার লক্ষ্য করে
ইটপাটকেল ছুঁড়েন আন্দোলনকারীরা।
অপর দিকে রবিবার দুপুরে জেলার
দেবিদ্বারে আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের
সংঘর্ষ চলাকালে একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেওয়া বলে জানা গেছে।