বিগত
সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন
প্রবাসীরা। এতে হঠাৎ কমে যায় রেমিট্যান্সের গতি। চলতি মাসের (আগস্ট) প্রথম
দিকে রেমিট্যান্স আসা থমকে গেলেও শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর তা বেড়েছে
কয়েকগুণ।
চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭১
কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার
পরিমাণ ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।
রোববার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ
ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, আগস্টের প্রথম ২৪ দিনে বৈধপথে রেমিট্যান্স
এসেছে ১৭১ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এ সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন
ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের
মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৬ কোটি ডলার। এছাড়া
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৮ কোটি ডলার। ৩২ লাখ ৩০ হাজার ডলার
এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।
তবে আলোচ্য সময়ে ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে
কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ
ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা
রাকাব। এছাড়া রয়েছে বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক,
আইসিবি ইসলামি ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে
হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০
কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল
২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ
ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ,
ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার
পাঠান প্রবাসীরা।