কুমিল্লার
বুড়িচং উপজেলা সদর ও পশ্চিম সিংহএলাকায় পৃথক বন্যার পানিতে ডুবে হাসিবুল
(১০) এবং ইব্রাহিম (৪) নামের দু’শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও পানিতে ডুবে
যাওয়া এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়াও এদিন জেলার
নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জে পানিতে ডুবে আরো দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ
নিয়ে দুই দিনে কুমিল্লার বন্যার পানিতে ডুবের ৮ জনের প্রাণহানির ঘটনা
ঘটলো।
ফায়ার সার্ভিস,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সুত্রে জানা
যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম সিংহ দক্ষিণ
পাড়া ফকির বাড়ি গ্রামের আল-আমিনের পুত্র ইব্রাহিম (৪) সকাল ১১ টায় বাড়ি
সংলগ্ন ডোবায় পড়ে মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক
আব্বাস। এদিকে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান,
দুপুর আনুমানিক ১.৫০ মিনিটে উপজেলা সদরের আরাগ আনন্দপুর গ্রামের নুরুল
আমিনের পুত্র হাসিবুল ইসলাম (১০) ও সোহাগ নামের দুই শিশু বাড়ি সংলগ্ন
বুড়িচং মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার
সার্ভিসের লোকজন তাকেসহ সোহাগ (১১) নামের অপর একজনকে উদ্ধার করে বুড়িচং
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক হাসিবকে মৃত ঘোষনা করেন।
সোহাগ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সেরাজুল হক নামে এক
ব্যক্তি বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি। মারা যাওয়া সেরাজুল উপজেলার গোরক মুড়া
এলাকার বাসিন্দা।
মনোহরগঞ্জের মির্জাপুর এলাকায় পানিতে ডুবে আরও একজনের
মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মনোহরগঞ্জ
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজালা রানী চাকমা বলেন,মারা যাওয়া ব্যক্তি
মর্জিাপুর এলাকার দুলাল ময়িার প্রতবিন্ধী পুত্র। সকাল থকেে তনিি নখিোঁজ
ছলিনে। পরে সন্ধ্যায় তার মরদহে উদ্ধার করা হয়।