ফেনী জেনারেল
হাসপাতালে একদিনে ২৪ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায়
ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭১ জন। বাড়ছে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর
সংখ্যাও।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোবারক হোসেন দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি
জানান, বন্যায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আউটডোরে প্রতিদিন
শত শত মানুষ চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। সাপে কাটা রোগীসহ বিভিন্ন রোগে
আক্রান্তরা হাসপাতালে আসছেন। যন্ত্রপাতি ও ওষুধপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায়
হাসপাতালের ডায়ালাইসিস, প্যাথলজি, এক্স-রে ও ইসিজি সেবা বন্ধ রয়েছে।
স্মরণকালের
ভয়াবহ বন্যায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালের নিচতলা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে
গত এক সপ্তাহ হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে।
হাসপাতালের করিডোরে, মেঝেতে ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডাক্তারদের পাওয়া যাচ্ছে না
অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে নার্সরা
প্রায় ৫০টি ডেলিভারি করায়। কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার
পরও হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়নি। তবে প্যাথলজি,
স্কেনো, ডায়ালাইসিস ও এনআইসিউ ওয়ার্ড, ইমারজেন্সি ও স্টোর রুম ক্ষতিগ্রস্ত
হওয়ায় পুরোপুরি সেবা কার্যক্রম চালু হতে আরও সময় লাগবে।
হাসপাতালে রোগীর
স্বজন জিয়া উদ্দিন জানান, বন্যায় হাসপাতালটি যেন নিজেই রোগাক্রান্ত হয়ে
পড়েছে। কার কাছে গেলে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যাবে সেটিই বুঝতে পারি না। সন্তান
ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়লে গত তিনদিন ধরে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
এ
বিষয়ে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বিলকিস আরা জানান, আটদিনে হাসপাতালে
৯৮জন রোগী ভর্তি হলেও স্বাভাবিক-অস্ত্রোপচারসহ ৪৮ প্রসূতির বাচ্চা প্রসব
হয়। মঙ্গলবার থেকে চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলেও নার্স দিয়ে হাসপাতালের প্রসূতি
সেবা অব্যাহত ছিল।
শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স শ্যামলী জানান, ভয়াবহ
বন্যায় হাসপাতালের নিচ তলায় ব্যাপক ক্ষতি হয় ও স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রম
ব্যহত হয়ে পড়ে। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। দিন
দিন রোগী বৃদ্ধি হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।