কুমিল্লার
বুড়িচং,ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতীর বাঁধ ভেঙ্গে সৃষ্ট বন্যার পানি বৃহস্পতিবার
বিকেল থেকে নামতে শুরু করেছে। এসময় বিভিন্নস্থানে পানির নীচে থাকা সড়ক,
বাসা-বাড়ির ধ্বংসস্তুপ ভেসে উঠছে।
সরেজমিন বুড়িচংয়ের বন্যা কবলিত ষোলনল,
পীরযাত্রাপুর, বুড়িচং সদও ও বাকশীমুল ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম, জনপদ ঘুরে
পাওয়া তথ্যে, চিত্রে জানা যায়, গত ২২ আগষ্ট গোমতীর বাঁধ ভাঙ্গায় সৃষ্ট
বন্যার পানিতে প্রথমে বুড়িচং উপজেলার ৫টি ও পওে ব্রাহ্মণপাড়ার সব কটি (৮টি)
ইউনিয়ন পানির নীচে তলিয়ে যায়। এসময় জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে
কুমিল্লা-বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়া-মীরপুর সড়ক,কুমিল্লা-সালদা সড়ক,
রামপুর-বুড়িচং সড়ক, বুড়িচং-বাকশীমুল-কালিকাপুর সড়ক,
বুড়িচং-সাদকপুর-নোয়াপাড়া-পীরযাত্রাপুর, বুড়িচং-সাদকপুর বাজার,
বারেশ^র-লরিবাগ-পাচোঁড়া সড়ক, ফকিরবাজার-পিতাম্বর-বাকশীমুল সড়ক,
বাকশীমুল-পিতাম্বর-রসুলপুর সড়ক, মহিষমারা-নানুয়ারবাজার সড়ক,
আগানগর-শিকারপুর-নানুয়ারবাজার, ইছাপুরা-রসুলপুর,
ভরাসার-রসুলপুর-ভূবনঘর-তেলকুপি সড়ক, ভরাসার-পূর্বহুরা-রামনগর সড়ক,
পূর্বহুরা-কাহেতরা সড়ক, ব্রাহ্মনপাড়ার সাহেবাবাদ--জিরুইন-অলুয়া সড়ক,
টাটেরা-ছাতিয়ানী-ব্রাহ্মনপাড়া সদর-নাইঘর-হরিমঙ্গল সড়ক, দুলালপুর, শীদলাই,
মালাপাড়ার বিভিন্ন সদক, চান্দলা-বড়ধুষিয়া-নাগাইশ-শশীদল সড়ক, মাধবপুর
ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো সড়কই পানিতে তলিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার থেকে কিছুটা
পানি কমলেও গতকাল শুক্রবার পানি ব্যাপকভাবে কমতে শুরু করলে গতকাল দুপুরে
কুমিল্লা-বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া-মীরপুর সড়কের মহিষমারা, খাড়াতাইয়া এলাকায়
তিনটি বড় বড় গর্তের চিহ্ন দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস সামাদ
মাষ্টার জানান,বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া এগারটায় জেলা প্রশাসনের ত্রানভর্তি
একটি ট্রাক্টও ত্রান নিয়ে খাড়াতাইয়া এলাকা অতিক্রমের সময় গর্তে উল্টে যায়।
তিনি আরো জানান, সড়কটির এই স্থানের আধা কিলোমিটার স্থানে একাধিক
গর্তেরসৃষ্টি হওয়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ত্রাণবাহী ট্রাক। আর
শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার একদিনেই এই স্থানটিতে ৩টি ট্রাক উল্টে যায়। এদিকে
বুড়িচং উপজেলা সদরের আশপাশের বারেশ^ও,পুর্নমতি, হরিপুর, খোদাইতলি, একই
সড়কের ব্রাহ্মনপাড়া অংশের সাহেবাবাদ, টাটেরা, ব্রাহ্মনপাড়া সদরের
একাধিকস্থানে সড়কটিকে বেশ কিছু খানা-খন্দকের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়াও
বুড়িচংয়ের মহিষমারা, ইছাপুরা, ইন্দ্রবতী, বেড়াজাল, খাড়াতাইয়া, বুড়বুড়িয়া,
মিথিলাপুর, রামনগর, পুর্বহুরা, পয়াত, রসুলপুর, বাকশীমুল, কন্ঠনগর,
শিবরামপুর, শিকারপুর, আগানগর, পীরযাত্রাপুরের গোপীনাথপুর, মাওরা, কিশোরনগর,
শ্রীপুর, সাহেবাবাদ, মালাপাড়া, চান্দলা, শশীদল প্রমুখ গ্রামে পানি কমার
খবর পাওয়া গেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সূত্রে। এসময় পানি কমতে
থাকায় মাটি ও টিনের ঘরগুলোর অনেক ক্ষত চিহ্ন ভেসে উঠে। এবিষয়ে বুড়িচং
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার জানান, এখনো সরকারীভাবে কোন
পুনর্বাসনের বরাদ্দ আসেনি। পরবর্তিতে ক্ষতিগ্রস্থেও তালিকা করে সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে। বরাদ্দ আসলে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।