কুমিল্লার
বুড়িচং উপজেলা সদরের ইসলামিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার আশ্রয় কেন্দ্রে গত
তিন দিনে তিন শিশু কন্যা ভুমিষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মা ও সন্তানরা
সকলেই এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে।
ইসলামিয়া সুন্নিয়া ত্রান
শিবির সুত্রে জানা যায়, গত ২২ আগষ্ট জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের
বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গেলে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের
শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে প্রান বাঁচাতে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের
হাজার হাজার মানুষ ত্রান শিবিরে আশ্রয় নেয়। এদেও মধ্যে অনেকেই ছিল গর্ভবতী
নারীও। গতকাল শুক্রবার ভোর চারটায় ইসলামিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার ত্রান
শিবিরের দ্বিতীয় তলায় আশ্রীত বুড়িচং সদরের পূর্বপাড়ার প্রবাসী সাকিবের
স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। এসময় শিবিরে অবস্থানরত মহিলারা এসে প্রসবের
কাজে সহযোগীতার হাত বাড়ায়। ৪.১০ মিনিটে একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়। মা ও
শিশু সুস্থ্য আছে। এদিকে গত ২৯ আগষ্ট এই আশ্রয় কেন্দ্রের ৩য় তলায় একই
গ্রামের আইয়ুব আলী মেম্বারের বাড়ির রুবেলের স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে
দ্রুত ইঞ্জিন চালিত নৌকায় দুর্গত এলাকা পার করে এ্যাম্বুলেন্স যোগে
কুমিল্লার একটি বেসরকারী ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে একটি পুত্র সন্তান
প্রসব হয়। এছাড়াও ২৮ আগষ্ট ভোর ৬টায় একই গ্রামের ওই একই আশ্রয় কেন্দ্রের
দ্বিতীয় তলায় এক গর্ভবতী মহিলার প্রসব বেদনা হলে সেখান থেকে দ্রুত তাকে
নৌকা যোগে প্রথমে ইছাপুরা ও পরে সেখান থেকে একটি এ্্যাম্বুলেন্সযোগে
কুমিল্লার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রসুতি একটি কন্যা
সন্তান প্রসব করে। তিনটি সন্তান ভূমিষ্টের খবরটি নিশ্চিত করেন এই শিবিরে
দায়িত্ব পালন করা সামাজিক সংগঠন “মানবতার পূর্ব পাড়া বুড়িচং”’র সাধারন
সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। সন্তান ভুমিষ্টের খবরে সংগঠনটির উপদেষ্টা ও
অধ্যাপক মোঃ গিয়াসউদ্দিন,সংগঠনটির সভাপতি মোঃ সালাহউদ্দিন নবজাতকদের কাপড়সহ
বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।