বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র জনতার গণআন্দোলন চলাকালে দেবিদ্বার সরকারি কলেজ রোডে সশস্ত্র হামলা ও
কুপিয়ে আবু বকর নামের এক তরুণকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের
করে হামলায় আহত আবু বকরের বাবা আবুল খায়ের। আদালতের বিচারক অভিযোগটি মামলা
হিসেবে রেকর্ড (এফআইআর) করতে দেবিদ্বার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে
নির্দেশ দেন। আহত আবু বকর উপজেলার শাকতলা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায়
কুমিল্লা ৪ ( দেবিদ্বার) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, তার ভাই সাবেক
উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
আবদুল্লাহ আল কাইয়ুম, ধলাহাস গ্রামের (বন্দুকধারী) সুটার সালাউদ্দিন,
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল, উপজেলা
ছাত্রলীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান রনি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
মোস্তাফিজুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগ
নেতা আসিফ বিন লতিফ, গোলাম মহিউদ্দিন সবুজসহ ৭২ জনকে এজাহার নামীয় এবং
অজ্ঞাতনামা আরও ৭০/৮০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়,
ছাত্রআন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগষ্ট সকাল ১১টায় দেবিদ্বার সরকারি কলেজ রোডের
কালাচাঁন্দ সুপার মার্কেটের সামনে মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি আবুল
কালাম আজাদ ও তার ভাই মামুনুর রশিদের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা আবু বকরের
উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে রাস্তায়
ফেলে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা সদরের একাধিক বেসরকারি
হাসপাতালে চিকিৎসা ও পরে আইসিইউতে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায়
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সহায়তায় গত ১৬ আগষ্ট ঢাকার নিউরোসায়েন্স
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি।
বাদীর আইনজীবী মো,
আরিফুর রহমান শ্রাবন বলেন, ভিকটিমের অবস্থা শংকপন্ন। তার মাথায় প্রচণ্ড
আঘাতের কারণে ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা অপসারণ করে বিশেষ প্রক্রিয়ায়
অন্যত্র রাখা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে দেবিদ্বার
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।