কুমিল্লার
লালমাইয়ে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক সহকারী শিক্ষককে
পুলিশের হাতে তুলে দিলো শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। রবিবার (৮
সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই শিক্ষককে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত
শিক্ষকের নাম বিল্লাল হোসেন। তিনি উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সর্দার
হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক।
এঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা মনির হোসেন বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ
সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেন (৫৪) বৃহস্পতিবার ৫
সেপ্টেম্বর দশম শ্রেণির ছাত্রীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গা হাত দিয়ে যৌন
হয়রানি করেছেন। ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে তার বাবা মাকে জানালে তা চারদিকে
জানাজানি হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের
সৃষ্টি হয়। ৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খুললে ছাত্র জনতা জড়ো হয়ে এই ঘটনার
প্রতিবাদ করতে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ সামাল না দিতে পেরে
সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে লালমাই থানায় নিয়ে আসে।
এঘটনায়
ওই এলাকার শামীম মজুমদার বলেন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বেও যৌন
হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের প্রশ্রয়ে শিক্ষক
পার পেয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর আলম সর্দার বলেন,
প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির শুরু থেকে বিরোধিতা করে আসছে একটি চক্র, বহু লড়াই
সংগ্রামের পর বিদ্যালয়টি টিকে আছে। শিক্ষকের যৌন হয়রানি সম্বন্ধে বলেন তিনি
যদি আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হন আমাদের কিছু বলার নেই। এই শিক্ষকের
পূর্বে যৌন হয়রানি সম্বন্ধে বলেন, শুনেছি তখন সবকিছু সমাধান করা হয়েছে।
এবিষয়ে
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিন কাদের খাঁন জানান, এ ঘটনায়
ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতের
মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।