প্রথম স্পেলটায় পরিচয় দিলেন নিজের ধৈর্য্যের। সঙ্গে দীর্ঘ ১৩ বছর পর কাউন্টি ক্রিকেটে মানিয়ে নেয়ার একটা চেষ্টা। আর পরের স্পেলটায় সাকিব আল হাসান দেখালেন বল হাতে তার চিরচেনা সেই রূপ। কাউন্টি ক্রিকেটে অনেকটা দিন পর ফিরেছেন। ক্যারিয়ারের দেড় যুগে এসে স্বাদ পেলেন অভিষেকের। সাকিব দিনটা রাঙালেন শেষ পর্যন্ত নিজের মতো করেই।
কাউন্টি ক্রিকেটে এর আগেও খেলেছেন। তবে সেটা উস্টারশায়ার কাউন্টি ক্লাবের হয়ে। সারের হয়ে বলতে গেলে নতুন করে অভিষেকই হয়েছে। উইন্ডিজ পেসার কেমার রোচ সাকিবকে দিলেন অভিষেকের ক্যাপ। সারের হয়ে এক ম্যাচের জন্য মাঠে নামা সাকিব বাকি দিনটা শেষ করেছেন নিজেকে প্রমাণ করে। ৩৩.৫ ওভার বল করে ৯৭ রান খরচ করে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
ম্যাচে সাকিব দৃশ্যপটে এলেন ১০ ওভার পর। ততক্ষণে সারে প্রতিপক্ষ সমারসেটের ১ উইকেট তুলে নিয়েছে। কেমার রোচ ইনিংসের প্রথম ওভারেই সমারসেট ওপেনার লুইস গোল্ডসওর্দিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান। ১০ ওভার শেষে সমারসেটের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩০। এমন অবস্থায় ডাক পড়ে সাকিবের। এরপর মাঝে এক ওভার বাদ দিয়ে সমারসেটের ইনিংসে ৬৬তম ওভার পর্যন্ত টানা বোলিং করেন সাকিব।
দুই স্পেল মিলিয়ে ২৮ ওভারে ৭ মেডেন নিয়ে ৭৯ রান দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। পেয়েছিলেন ১ উইকেট। নিজের প্রিয় অস্ত্র আর্ম বলের সাহায্যে তুলে নেন টম অ্যাবেলের (৪৯) উইকেট। সাকিবের দুর্দান্ত আর্ম বলের কোনো জবাবই ছিল না অ্যাবেলের। ভারসাম্য রাখতে না পেরে মাটিতে পড়ে যান আবেল।
সাকিব নিজের তৃতীয় স্পেলে ফিরেছেন সমারসেটের ইনিংসে ৮৬তম ওভারে। এই স্পেলে দেখিয়েছেন নিজের ঝলক। মাত্র ৫.৫ ওভার বোলিং করে বাকি ৩টি উইকেট নেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। ক্যাসি আলড্রিজ সাকিবকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে হয়েছেম বোল্ড। ক্রেইগ ওভারটনও ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে বল এবার চলে যায় উইকেটের পেছনে থাকা বেন ফোকসের হাতে। সেখান থেকেই স্ট্যাম্পিং।
আর শেষ উইকেটে সাকিব ব্রেট র্যানডেলকে ফেরান এলবিডব্লিউতে। ৯৬তম ওভারের পঞ্চম বলে সাকিবের উইকেটের সুবাদে অলআউট হয় সমারসেট। সারের হয়ে দিনের সেরা বোলার বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। এছাড়া ১৭ ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন সারে পেসার ড্যানিয়েল ওরেল। সমারসেটের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩২ রান করেছেন টম ব্যান্টন।