স্টাফ
রিপোর্টার: ভারতীয় আগ্রাসনের ছেড়ে দেওয়া পানিতে গোমতীর নদীর পানি বেড়ে
ডুবে গিয়েছিল কুমিল্লার গোমতীর তীরে অবস্থিত গ্রামগুলো। ডুবে যাওয়া
গ্রামগুলোর পানি কমতে শুরু করলে ফুটে উঠতে থাকে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে গিয়েছে অনেকের মাটির ঘর, ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে
অনেকে জীবনের শেষ সম্বলটুকু।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শাহেদা আক্তার জানান"
হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করলে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নেই।পানি টানার পরে
বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ভিটা পুরাটা ভেঙে গেছে আমার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা
নেই"
ক্ষতিগ্রস্ত নাজির আহমেদ বলেন" বন্যার পানি আমার শেষ সম্বলটুকু
ভাসিয়ে নিয়ে গেলো,আমি একেবারে অসহায় হয়ে গেলাম।আমার এই জীবনে এমন বন্যা
কখনো দেখিনি"।
এইদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পূনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহযোগীতা করেছে কুমিল্লা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
মঙ্গলবার
কুমিল্লার সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়ন এ কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির
কাজী দ্বীন মোহাম্মদ ও সেক্রেটারি অধ্যাপক এমদাদুল হক মামুন এর নেতৃত্বে
ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্বাসনের জন্য ৫০ টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা
হয়।
কুমিল্লা মহানগর জামায়াতে আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন" বন্যায়
শত শত পরিবার ঘরছাড়া এবং ঘরহারা হয়ে গেছে। আমীরে জামায়াতের নির্দেশনা
অনুযায়ী তাদের পূনর্বাসনের জন্য সামান্য কিছু হাদিয়া নিয়ে এসেছি,বন্যায়
যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের পূনর্বাসনের জন্য আমরা সর্বোচ্চ
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ।
মহানগর জামায়াতের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসী বলেন বন্যার সময়ও তারা ত্রান নিয়ে এসেছিলো এখন আবার পূনর্বাসনের জন্য তারা এগিয়ে এসেছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
কুমিল্লা
মহানগর জামায়াতের উদ্যোগ এ প্রায় ৫০০ পরিবারের পূনর্বাসনের কাজ হাতে নেওয়া
হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের কুমিল্লা মহানগর এর নেতৃবৃন্দরা।