কুমিল্লার
চান্দিনায় রাতের অন্ধকারে মো. কাউসার (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে আহত করার
১০দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে তার। হামলাকারীরা লিবারেল
ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র লোকজন বলে দাবী করেন নিহতের পরিবার।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সোয়া ৩টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে তার।
নিহত
মো. কাউসার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত সামছুল হকের
ছেলে। তিন সন্তানের জনক কাউসার পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। গত ৩ সেপ্টেম্বর
রাত ১১টায় মহিচাইল ২নং ওয়ার্ড এলাকায় তার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহতের
ছোট ভাই ফয়সাল জানান, আমাদের মামা একই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ মহিচাইল
ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন
৬ আগস্ট এলডিপি’র লোকজন এসে আব্দুল্লাহ মামার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরবর্তীতে আমার বড় ভাই মামার বাড়িতে
বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার করতে গেলে তারা বাঁধা দেয়। আমার ভাই তাদের বাঁধা না
শোনে মামার বাড়ির কাজ করে দেয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মেরে ফেলার হুমকি
দেয়।
ফয়সাল বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর আমার ভাই অন্যত্র কাজ শেষে রাত ১১টায়
বাড়ি ফেরার সময় ছাতাড্ডা গ্রামের শাহজাহান, রাসেল, সোহাগ, আলম, ফাহিম সহ
কয়েকজন মিলে আমার ভাইকে এলোপাথারী পিটিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা সবাই
এলডিপি’র নেতা-কর্মী ও সমর্থক। আমার ভাইকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কুমেকে এবং পরে ঢাকার একটি
হাসপাতালে ভর্তি করাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মৃত্যু ঘটে তার।
এ ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত
করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলডিপি সাধারণ
সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের জানান, আমাদের লোকজন তাকে মারবে কিভাবে?
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা শুনেছিলাম। এসব
ঘটনায় আমাদের লোকজন জড়িত নাই।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি)
সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, নিহতের পরিবারের কেউ এখনও কোন প্রকার লিখিত বা
মৌখিক ভাবে আমাদের কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত
ব্যবস্থা নিব।