এ যেন গোলের
মহাউৎসব। এক ম্যাচে মোট ১১ গোল! এর মধ্যে আবার ৯ গোলই করেছে বায়ার্ন
মিউনিখ। আর প্রতিপক্ষ দিনামো জাগরেব করেছে বাকি ২ গোল। গোল উৎসবে মেতে ওঠা
বায়ার্ন গতকাল মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়্ন্স লিগের ইতিহাসই বদলে দিয়েছে।
ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতাটিতে এর আগে কোনো দল এক ম্যাচে
এত বেশি গোল করতে পারেনি।
মঙ্গলবার ঘরের মাঠ মিউনিখে প্রথমার্ধে ৩-০
ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। ১৯ মিনিটে ক্লাবের হয়ে প্রথম গোলটি পেনাল্টি
থেকে করেন হ্যারি কেইন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরো দুটি গোলও পেনাল্টি থেকে
করেন এই ইংলিশ তারকা। এই ম্যাচে স্পটকিকেই মোট ৩ গোল করেন কেইন। এছাড়া ৫৭
মিনিটে স্বাভাবিকভাবে আরও একবার জাগরেবের জাল কাঁপিয়ে গোলের সংখ্যাকে ৪ এ
নিয়ে যান তিনি।
প্রথম ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেনাল্টি শ্যুটে
হ্যাটট্রিক করার রেডর্ক করলেন কেইন। এছাড়া ৪ গোলের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স
লিগে ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ ৩৩ গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। এর আগে
সর্বোচ্চ ৩০ গোলের রেডর্ক ছিল ইংল্যান্ডের আরেক কিংবদন্তি ওয়ানে রনির।
এছাড়া
জাগরেবের ব্পিক্ষে বায়ার্নের এই জয়টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে
বড় জয়। এর আগে লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদের ৮-০ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড ছিল।
চ্যাম্পিয়ন্স
লিগে এর আগে এক ম্যাচে ১২ গোলের রেকর্ডও আছে। ২০১৬ সালে ওই ম্যাচে লিজিয়া
ওয়ারসকে ৮-৪ ব্যবধানে হারিয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তবে একক দলে হিসেবে ৯
গোলের রেকর্ড এবারই প্রথম।
দুর্দান্ত দুই রেকর্ড করা কেইন ম্যাচ শেষে
বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমি এক ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি পেয়েছি। এটা আমার জন্য
অন্যরকম অনুভূতি ছিল। কিন্তু চার গোল করাটা অসাধারণ। দলকে যেকোনো উপায়ে
সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ। পেনাল্টি হোক বা স্বাভাবিক ফিনিশিং। আমি সব
সুযোগই নেবো। আমাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত রাত ছিল।’
প্রথমার্ধে বায়ার্নের হয়ে কেইনের এক গোলের সঙ্গে আরো দুটি গোল করেন রাফায়েল গুয়েরইরো (৩৩ মিনিটে) ও মাইকেল অলিসি (৩৮ মিনিটে)।
দ্বিতীয়ার্ধে
আরও ৬ গোল করে বায়ার্ন। এর মধ্যে ৩টি করেন কেইন (৫৭ মিনিটে, ৭৩ ও ৭৮
মিনিটে পেনাল্টি থেকে)। ৬১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন অলিসি। ৮৫ মিনিটে
লেরয় সানে ও ৯২ মিনিটে গোল করেন লিয়ন গোরেজকা।অন্যদিকে জাগরেবের হয়ে দুটি
গোল করেন ব্রুনো পেটকোভিক (৪৮ মিনিটে) ও তাকুয়া ওগুয়ারা (৫০ মিনিটে)।