নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা বিএডিসির এক প্রকল্পেই বদলে গেছে তিন জেলার কৃষির
চিত্র। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরের ২৭ হাজার ২২৭ হেক্টর জমি সেচ
সুবিধার আওতায় আসায় সুফল পেয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার কৃষক। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে
উঠতে এবং এই অঞ্চলের কৃষিকে আরো তরান্বিত করতে নতুন করে প্রকল্প গ্রহনের
দাবি কৃষকদের।
বিএডিসি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন
করপোরেশন (বিএডিসি) কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেচ উন্নয়ন প্রকল্প
হাতে নেয়। ৩৪ উপজেলায় ৩৫৯ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প শেষ
হয় ২০২৪ সালের জুন মাসে। ড্রোন উড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয় পুরো এলাকা। কোথায়ও
জলাবদ্ধতা কিংবা পানি আটকে আছে তা চিহ্নিত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
প্রকল্পে ৬৩০ কিলোমিটার সেচ খাল পুনঃখনন এবং ৪০ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ
নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের কার্যক্রমসমূহ সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে
২৭ হাজার ২২৭ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ হয়েছে এবং প্রতিবছর ১ লাখ
৩৬ হাজার ১৩৫ মেট্রিকটন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে। এতে ক্ষতি ও
দুঃখ-কষ্ট ছাপিয়ে বুকভরা আশায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কৃষকেরা। ফলে সেখানে আউশের
ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও
চাঁদপুরের ২৭ হাজার ২২৭ হেক্টর জমি সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। ৪০ কিলোমিটার
ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও ২৯ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ডেনেজ পাইপ নির্মাণ
হয়েছে। ৪১৬ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া ৩০টি সৌর
চালিত পাতকূয়া, ১৬৯টি বিদ্যুৎ চালিত এলএলপি, ৫০টি সাবমারসিবল পাম্প নির্মাণ
হয়েছে। এতে প্রকল্প এলাকায় প্রতি বছর ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৫ মেট্রিকটন
অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে। সুফল পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার কৃষক।
বিএডিসি
কুমিল্লা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরনবী জানান, এ বছর
বন্যার পানিতে প্রকল্পে ৩ জেলায় ক্ষয়- ক্ষতি হয়েছে। নতুন প্রকল্প গ্রহণের
মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পুণর্বাসন করা সম্ভব হবে।