স্টাফ
রিপোর্টার।। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর
আত্মগোপনে যাওয়া কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সúúাদক
আতিক উল্লাহ খোকন লাপাত্তা রয়েছেন। নেতাকর্মীদের সাথে নেই একমাত্র তার
যোগাযোগ। পলাতক আসামীরাও তার সাথে কোন ভাবে যোগাযোগ করতে পারছে না। সেই
সাথে ভারতের কলকাতায় আত্মগোপনে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন
বাহার ও তার কন্যা সূচির সাথে নেই আতিক উল্লাহ খোকনের যোগাযোগ ! বিষয়টি
নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাজী বাহার নিজেও। হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে
যার সাথেই তিনি যোগাযোগ করেন তার কাছেই আতিক উল্লাহ খোকনের উপর ক্ষোভ
প্রকাশ করেন। বিশ^স্থ সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিকালে কুমিল্লা ক্লাবে যে দুটি গাড়ি
বিক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দেয় সে দুটি গাড়ি ছিল মহানগর আওয়ামী লীগের
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকনের। এর মধ্যে একটি গাড়ি
(পাজারো) অন্তত ৬৫ লাখ টাকায় কেনা এবং অপর একটি নিলামে কিনে মেরামত করা।
এছাড়া তার ঝাউতলা শহীদ একেএম শামসুল হক রোডের বাসা ও মনোহরপুরে ফাইন্ড
টাওয়ারে ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পর থেকেই আত্মগোপনে আছে আতিক
উল্লাহ খোকন। কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এই নেতার
বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্তত ৮টি মামলা হয়েছে। আসামীদের তালিকায় তিনি
উপরের সারিতে।
সূত্র জানায়, আত্মগোপনে যাওয়া আতিক উল্লাহ খোকন
নেতাকর্মীদের কারো সাথেই যোগাযোগ করেন নি। এমনকি সাবেক সংসদ সদস্য হাজী
বাহারের সাথেও না। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন
করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাজী বাহার তার মেয়েকে মেয়র বানানোর খায়েস পূরণ
করতে গিয়ে আতিক উল্লাহ খোকনসহ অনেকের মনেই আঘাত দেন। মনে ক্ষোভ দু:খ থাকলেও
তা কেউ প্রকাশ করেন নি। সাবেক মেয়র আরফানুল হক রিফাতের পুরো নির্বাচন
পরিচালনা করে এবং সাবেক এমপি বাহারের নির্বাচন পরিচালনা করে সফল দাবিদার
আতিক উল্লাহ খোকন মনে করেছিলেন মেয়র পদে প্রার্থী হতে পারবেন। কিন্তু তার
সে আশা পূরণ হয়নি।
সূত্র আরো জানায়, পূর্বে কুমিল্লা আওয়ামী লীগের
প্রয়াত নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের গ্রুপ করার কারণে বাহার গ্রুপেও আতিক
উল্লাহ খোকনকে দেখা হতো ভিন্ন নজরে। সাবেক এমপি বাহারও প্রকাশ্যেই এ নিয়ে
কথা বলতেন। এসব কিছুর পর ৫ আগস্ট সরকার পতনে আতিক উল্লাহ খোকনের ব্যাপক
ক্ষয়ক্ষতির খবরে অনেকটা বিধ্বস্থ আতিক উল্লাহ খোকন আত্মগোপনে চলে যান। এরপর
থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি দলের নেতাকর্মী কারো সাথেই
যোগাযোগ রাখছেন না। অনেকে তার নিরুদ্দেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
দৈনিক
কুমিল্লার কাগজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আতিক উল্লাহ খোকন আত্মগোপনে
রয়েছেন। তিনি ভালো আছেন। পারিবাািরক যোগাযোগ থাকলেও রাজনৈতিক যোগাযোগ তিনি
করছেন না।