অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানম। গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) শিক্ষার্থীদের তুপের মুখে তিনি এ পদত্যাগ করেন। এর আগেও কয়েকবার তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে কিন্তু নানা কারণে তিনি বহাল তবিয়তে থাকলেও এবার তিনি শিক্ষার্থীদের তুপের মুখে পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করলেন। সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা নার্সিং ইনস্টিটিউটে একত্রিত হতে থাকে এবং দুপুরের পর ক্লাস শেষে তারা ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জের কক্ষে অবস্থান নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, আকবরী খানম এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ইনস্টিটিউটের তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময় নানা রকম প্রভাব খাটিয়ে এসব করেছেন। কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। বর্তমানে আমরা শিক্ষার্থীরা এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষককে পদত্যাগের দাবি করছি। প্রথমে সে আমাদের প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাব দিবে তারপর পদত্যাগ করবে। হিসাব না দিয়ে সে পদত্যাগ করে কিভাবে।
পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটে তিনি নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ পদে (নিজ দায়িত্বে) কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আনিত অভিযোগ ও অনিয়মের (অত্র প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দকৃত বাজেট এর হিসাব দিতে ব্যার্থ হওয়ায়) কারণে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের নার্সিং ইন্স্ট্রাক্টর ইনচার্জ (নিজ বেতনে) এর পদ হতে আজ পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের তুপের মুখে নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এক লিখিত পদত্যাগ পত্রে সিলসহ স্বাক্ষর করে এই পদত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানম বলেন, প্রতিষ্ঠান যেভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন সেই নিয়ম অনুযায়ী তিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। শিক্ষার্থীদের উপকরণ গুলো তিনি করোনার আগে কিনেছেন কিন্তু করোনার কারণে এবং একটার পর একটা সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের উপকরণ গুলো বুঝিয়ে দিতে পারেননি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের তিনি বলেছেন তাদের জন্য ক্রয় করা উপকরণ গুলো ইনস্টিটিউটে আছে। অফিসিয়াল কিছু তথ্য আছে যে গুলো যেকোন ব্যক্তিকে যেকোন সময় দেওয়া যায়না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে কাউকে যে কোন তথ্য দেওয়া নিষেধ। উর্দ্ধতনরা অনুমতি দিলে তিনি দিতে পারেন।