স্টাফ রিপোর্টার।। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুনরায় সচল হওয়ার একদিনের মাথায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা ও তার বাবা সাবেক এমপি আবুল খায়ের মো: বাহাউদ্দিন বাহারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সেই সাথে সাবেক এমপি বাহারের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা বাহার, তার মেয়ে আয়মান বাহার ও আজিজা বাহার এবং তাহসিন বাহারের স্বামী সাইফুল আলম রনির ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
তাহসীন বাহার সূচি অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পাড়ি জমানোর প্রায় ২৭ দিন পর এই উদ্যোগ আসলো অন্তবর্র্তী সরকার থেকে।
জানা গেছে, আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সাবেক এমপি বাহার ও তাদের পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব অ্যাকাউন্টের তথ্য আগামী দুই দিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক নেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হচ্ছে।
এদিকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের পাড়ি জমানোর প্রায় ২৭ দিন পর অপসারিত মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার বিরোধী দু’টি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে ফেসবুক ব্যবহারকারী অনেকেই তাতে কমেন্ট করেন। সেই কমেন্টের অনেক তীর্যক উত্তর দেন সূচি। এক কমেন্টকারীর উত্তরে তিনি বলেন- ‘তার পাসপোর্ট ও ভিসা রয়েছে। কমেন্টকারীর মতো পরিচয় সঙ্কটে নেই।’
সূত্র জানায়, অবৈধভাবে সীমান্ত পার হলেও সূচির সাধারণ পাসপোর্টে লন্ডন ও কানাডার ভিসা রয়েছে। কিন্তু ভারতে প্রবেশের কোন সীল ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নেই। দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্টে সীল লাগিয়ে তৃতীয় কোন দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে তার। কিন্তু এরই মধ্যে তার বাবা সাবেক এমপি বাহারের পাসপোর্টের ডাটা অন্তবর্তী সরকার ব্লক করে দেওয়ায় কোন দিকে যেতে পারছেন না। পাসপোর্টে সীল লাগানো সম্ভব হলে সূচি এশিয়ার কোন দেশে অথবা লন্ডনে পাড়ি জমাতে পারেন। পাসপোর্টে সীল দিতে পারলে বৈধভাবে ভারতে কিছুদিন থাকতে পারবেন।
সূত্র আরো জানায়, সর্বশেষ তথ্য মতে সাবেক এমপি বাহার ও সূচি ভারতের আগরতলা অথবা সোনামূড়ার কোন স্থানে আত্মগোপন করে আছেন।
অপর দিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়রের জন্য ব্যবহৃত গাড়িটি ফেরত দেননি অপসারিত মেয়র তাহসীন বাহার সূচি। সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। তাতে গাড়িটি জনরোষে ভষ্মিভূত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু একজন মেয়র ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সিটি করপোরেশনের গাড়ি তার বাড়িতে নিয়ে রাখতে পারেন কি-না সেটি তদন্তে উল্লেখ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের গাড়িটি সূচির মুন্সেফবাড়ির বাসায় বিক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দেয়।