কানপুরের গ্রিন পার্কে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের অবতারণা করলেন মুুুুমিনুল হক। এক প্রান্তে মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান উইকেট বিলিয়ে দিলেও অপর প্রান্ত আগলে রাখলেন বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। স্বাগতিক ভারতীয় দলের শতশত সমর্থকের সামনে উঁচিয়ে ধরলেন ব্যাট।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ চেন্নাই টেস্টে ৩টি সেঞ্চুরি পেয়েছিল ভারত। কিন্তু বাংলাদেশ পায়নি একটিও। অবশেষে ভক্তদের প্রত্যাশা ও বাংলাদেশের অভাব কানপুরে পূরণ করলেন মুমিনুল। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি হাঁকালেন ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার। দীর্ঘ ১৫ মাস পর তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করলেন তিনি। সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছরের জুনে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
রোববার ৩৩তম জন্মদিন পালন করেন মুমিনুল। আজ সোমবার সেঞ্চুরি দিয়ে জন্মদিনকে আরো রঙিন করলেন তিনি। টেস্টে দেশের বাইরে এটি মুমিনুলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০২১ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে প্রথমবার শতক হাঁকান তিনি।
মুমিনুলের সেঞ্চুরির পর মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। ৬৬ ওভারের খেলা শেষে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০৫ রান। ১০২ রান নিয়ে খেলছেন মুুমিনুল আর মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেটে আছেন ৬ রানে।
আজ সোমবার ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। রৌদ্রোজ্জ্বল গ্রিন পার্কে দিনের শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫ রান যোগ করেই আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহিম। প্রথম দিনের খেলা শেষে ৬ রানে অপরাজিত থাকা ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরেছেন ১১ রান করেই। জাসপ্রিত বুমরাহর বল ব্যাট উঁচিয়ে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন মুশফিক।
এরপর মুুমিনুল হক ও লিটন দাসের ব্যাটে এগোচ্ছিলো বাংলাদেশ। শুরুতে দারুণ কিছু শট খেললেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি লিটন। ৩ চারে মোট ১৩ রান (৩০ বলে) করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে মিডঅফে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ হন তিনি।
এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সিরাজের হাতে ক্যাচ হন সাকিব আল হাসান (১৭ বলে ৯)। ভারতীয় স্পিনারের আগের বলে চার মেরেছিলেন সাকিব। পরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অফে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে ক্যাচ হন টাইগার অলরাউন্ডার।
এর আগে বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে একটি বলও মাঠে গড়াতে পারেনি। তবে প্রথম দিনে দুইবার বৃষ্টির বাধার মুখে ৩৫ ওভার খেলা হয়েছিল। এতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১০৭ রান। দিনের খেলা শেষে উইকেটে ছিলেন মুমিনুল ও মুশফিক।