নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লায়
মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঠিকাদার মো: আবদুল
কাদের। তিনি জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর আউটিয়াখোলার মো:
মফিজুল ইসলামের পুত্র। গতকাল রবিবার ৬ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের একটি অফিস
কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মো: আবদুল কাদের
লিখিত বক্তব্য পাঠ করে দাবী করেন তিনি মেসার্স কামরুল এন্টারপ্রাইজ নামের
প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটর তথা ঠিকাদার। তিনি একটি মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা
ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। বর্তমানে তিনি একটি জামে
মসজিদের কোষাদক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো
জানান, ঠিকাদারি কাজের লাইসেন্স নিয়ে দেবিদ্বার উপজেলার বোশনা গ্রামের
সফিকুল ইসলামের ছেলে কাজী লোকমান হোসাইনের সাথে কাজের বিলের টাকা নিয়ে চলতি
বছরের ২২ সেপ্টেম্বর কথা কাটাকাটি হয়। কাজী লোকমানের নিকট ঠিকাদারী কাজের
বিল বাবদ সর্বমোট ২২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পান। এর মধ্যে এলজিইডি থেকে বিল
বাবত ১৩ লক্ষ ৬৪ হাজার এক শত ১৩ টাকার একটি চেক তাকে দেওয়া হয়। ঐ চেক
এনআরবিসি ব্যাংক কুমিল্লা কান্দিরপাড় শাখায় লোকমানের একাউন্টে জমা করেন
তিনি যার তথ্য প্রমাণ তার নিকট আছে। বিনিময়ে ঐ চেকের বিপরীতে লোকমান
হোসাইন তাকে ১৩ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয়। টাকা তুলতে গিয়ে তিনি ব্যাংকে
গিয়ে দেখেন লোকমানের একাউন্টে কোন টাকা নেই। বিষয়টি তিনি লোকমানকে জানালে
লোকমান তাকে জড়িয়ে তার সম্মানহানী করতে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে
তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইনে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা
সংবাদ প্রচার করে, যা তার দৃষ্টিগোচরে আসে। তিনি এ মিথ্যা সংবাদ প্রচারের
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা সংবাদ প্রচার
করার পূর্বে কোন সংবাদকর্মী তাকে কোন প্রকার জিজ্ঞাসাবাদ অথবা কোন প্রকার
বক্তব্য না নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ও
তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে মানহানী করায় তিনি
মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারী লোকমান হোসাইনকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ গ্রহণে আগ্রহী। এ বিষয়ে তিনি কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতে একটি চেক
ডিসঅনার মামলা দায়ের করেছেন।