কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের ১০ম গ্রেডের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘‘এক দফা এক দাবি, দশম গ্রেড ন্যায্য দাবি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধন করেছেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানার মাধ্যমে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অষ্টম শ্রেণী পাস করা গাড়ির চালকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান, অথচ স্নাতক ও সমমান ডিগ্রি অর্জন করা সহকারী শিক্ষকেরা পান ১৩তম গ্রেডে। এই অবস্থাকে তারা বৈষম্য হিসেবে উল্লেখ করে এর প্রতিকার দাবি করেন।
তাঁরা আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈষম্য দূরীকরণের যে প্রচেষ্টা চলছে, তা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত, এবং সরকারের উচিত এই বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ২০১৫ সালের বেতন স্কেল ও বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষকদের স্বাভাবিক জীবনমান বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে এর কিছুটা সমাধান সম্ভব।
বক্তারা আরও বলেন, এইচএসসি ও ডিপ্লোমা যোগ্যতায় নার্স ১০ম গ্রেড, এসএসসি ও ৪ বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপসহকারী কৃষি অফিসার ১০ম গ্রেড, বাংলাদেশ পুলিশের এসআইতে স্নাতক যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড পেলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকেরা বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই।
মানববন্ধনে উপস্থিত সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ময়নাল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, হাবিবুর রহমান আকন্দ, মো. হাবিবুর রহমান, মোক্তল হোসেন, খোরশেদ আলম, নাজমুল হাসান, আশিকুর রহমান, নজরুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, গোলাম মহসিন হায়দার, তাজুল ইসলাম, গোলাম হোসেন, আবদুর রব মিয়াজী, আফরিনা সুলতানা দিনা, কাকলী আক্তার ও সাবিনা ইয়াসমিনসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।